ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়মে আমার পরিবারের কেউ জড়িত নয় - শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৭ এএম, ২৯ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জায়গায় নিজ পরিবারের কারো জমি নেই বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণে আমার বা আমার পরিবারের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ব্যয়ে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে গত কয়েকদিন থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের আগেই সেখানকার সাড়ে ৬২ একর জমি মৌজা দরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী দলিল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেখানে তার পরিবারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর রাজধানীর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে গণমাধ্যমকে তিনি ব্রিফ করেন।
মন্ত্রী বলেন, জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত যে জমিটি আছে সেখানে আমার বা আমার পরিবারের কারো কোনো জমি নেই। আমার ভাইয়ের অল্প কিছু জমি ছিল, সেটা তিনি হস্তান্তর করে দিয়েছেন। যেহেতু এটি থাকলে অধিগ্রহণের সময় তিনি লাভবান হবেন, আমি যেহেতু একটা দায়িত্বে আছি, সেহেতু তিনি অধিগ্রহণের আগেই এটি হস্তান্তর করে দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। পৈতৃক সূত্রে থাকতে পারে। আমার কাছে যা তথ্য-প্রমাণ আছে, তা থেকে বলতে পারি, আমার বড় ভাই অধিগ্রহণের আগেই বিক্রি করে দেন। এছাড়া আমার বা আমার পরিবারের এই জায়গা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা এ বিষয়ে এমন তথ্য ছড়িয়ে হয়রানি বাড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলেন ডা. দীপু মনি।
অভিযোগ উঠেছে, জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যে জমি অধিগ্রহণ হয়েছে, সেখানে মৌজা দরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দাম দেখিয়ে জমি দলিল করেছেন কয়েকজন। এ কারসাজিতে জড়িতদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর নিকটাত্মীয়ও রয়েছেন।
অভিযোগে বলা হচ্ছে, সরকারের কাছ থেকে ৩৫৯ কোটি টাকা বাড়তি নেয়ার এ কারসাজিতে জড়িত ব্যক্তিরা শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। এর মধ্যে মন্ত্রীর নিকটাত্মীয়ও রয়েছেন। তারা ভূমি অধিগ্রহণে প্রশাসনিক অনুমোদনের আগেই চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে জায়গা ঠিক করে নিজেদের নামে দলিল করিয়ে নেন। পরবর্তী সময়ে সেসব জমিই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচন করে এবং জেলা প্রশাসনকে অধিগ্রহণ করতে বলে।