জাতীয় স্মৃতিসৌধে ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৮ এএম, ২ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বছরের প্রথম দিনে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদবেদিতে ফুল দিয়ে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আজ শনিবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে স্মৃতিসৌধে পৌঁছে তিনি এই শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন তিনি। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি সোয়া ১২টার দিকে সৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ অনেকে। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামসহ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নতুন প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা : সদ্য দায়িত্ব নেয়া প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। গতকাল শনিবার তিনি এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার মনে হয় ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বটে, তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন মানুষের মধ্যে এবং বাংলার প্রত্যেকটি আনাচে কানাচে আমরা বঙ্গবন্ধুকে অনুভব করি। মৃত বঙ্গবন্ধু এখন জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে অনেক শক্তিশালী।
তিনি আরও বলেন, কিছু দিন আগে ১৫ আগস্টে আমরা সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠান করেছি। প্রত্যেকটা বিচারপতি ওনাকে (বঙ্গবন্ধু) শ্রদ্ধা নিবেদন করে কথা বলেছেন। এখান থেকে আমার মনে হয় জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু মরেননি, আমাদের মনে জীবিত আছেন। এরপর সেখান থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান বিচারপতি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে যোগ দেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খুলনা সিটি করপোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির আইন উপদেষ্টা ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।