মদকে মাদকদ্রব্য বলা কেন অবৈধ ও বেআইনি নয় - হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৫ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৭ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মদকে মাদকদ্রব্য বলা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ সচিব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিসোর্ট ও রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
তিনি বলেন, মদকে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮’-এর তফসিলভুক্ত করা কেন বেআইনি নয়, এ বিষয়ে জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মদকে মাদকদ্রব্যের বাইরে রাখতে নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিটটি দায়ের করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আরজে টাওয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড ও ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক। ওই রিটের শুনানি নিয়ে মাদকদ্রব্য আইনের সংজ্ঞায় মদকে অন্তর্ভুক্ত করা সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, মদ এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যকে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। অনেক মাদকদ্রব্য আছে, যেগুলো আমদানিযোগ্য না, যেগুলো বহন করা অপরাধ। অ্যালকোহল আমদানি-রফতানিযোগ্য পণ্য। কিন্তু ইয়াবা, আইসসহ আরও অনেক মাদকদ্রব্য আছে যেগুলো নিষিদ্ধ পণ্য। এগুলো আমদানি বা রফতানিযোগ্য না। সেজন্য যারা ব্যবসা করেন তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, এখন সমস্যা হলো পানযোগ্য অ্যালকোহল ও নিষিদ্ধ মাদককে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এটার জন্য যারা অ্যালকোহল বিক্রি বা আমদানি বা রফতানি করেন তাদের সমস্যা হয়। তার কারণ এগুলোও তখন মাদকদ্রব্য হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর ফলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে রিট করা হয়েছে। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। সুতরাং এই আইনকে একসূত্রে করা বা একই সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা কেন সংবিধানের ৩১ ও ৪০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়েছেন আদালত।