মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২০ এএম, ৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৯ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নারীবিদ্বেষী অসৌজন্যমূলক বক্তব্য ও ফোনালাপে অশালীন কথোপকথনের পর সদ্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা এবং জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ পাওয়া ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট দায়েরের বিষয়টি আইনজীবী নিজেই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জেরে সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি করার জন্য রিটটি উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। অশালীন, শিষ্টাচার-বহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ায় ডা. মুরাদ হাসানকে গত সোমবার রাতে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে মোতাবেক মঙ্গলবার বিকেলে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে ডা. মুরাদের করা নারীবিদ্বেষী মন্তব্য ঘিরে ক’দিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চলছিল। এরইমধ্যে সোমবার রাতে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি কল রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে নায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একইসঙ্গে তাকে আপত্তিকর প্রস্তাব ও হত্যার হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমনকি মুরাদের শাস্তিরও দাবি ওঠে। ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ডা. মুরাদ জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের এমপি। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। মুরাদ জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে পত্র পাঠান ডা. মুরাদ হাসান। রাতে সেটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর রাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। প্রকাশিত গেজেট বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।