সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে লাগবে ৩ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৭ এএম, ২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৫৫ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ অর্থ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমতি লাগবে। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর ১৪ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশিত হয়েছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেনাকাটা করতে বিদেশ ভ্রমণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় রোধ করতে এই নির্দেশনা দেয়া বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। আদালতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুর রশিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে বিআইডব্লিউটিসি ৬ কোটি টাকার ফগলাইট কিনতে আমেরিকায় যান প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পরিচালক জ্ঞানরঞ্জন শীল, জিএম ক্যাপ্টেন শওকত সরদার ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পংকজ কুমার পাল। তাদের মধ্যে প্রকৌশলী ছিলেন মাত্র একজন। তারা ৬ কোটি টাকা দিয়ে ১০টি ফগলাইট কেনেন, কিন্তু সেগুলো ছিল নিম্নমানের। এছাড়া দেশে ফিরে গ্রীষ্মকালেই তারা ফগলাইট পরীক্ষা করেন। মাওয়া এবং আরিচা ফেরিঘাটে ফগলাইট পরীক্ষার পর দেখা যায়, ৭ হাজার ওয়ার্ডের ফগলাইট কাজ করছে মাত্র তিন হাজার ওয়ার্ডের সমান। কিন্তু এর মধ্যে টাকা তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জনি করপোরেশন। তবে অনিয়ম ধরা পড়ায় আটকে দেয়া হয় ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা। ২০১৬ সালে ব্যাংক গ্যারান্টির ২৮ লাখ টাকা উদ্ধারে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ফগলাইট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জনি করপোরেশন। সেই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর তা খারিজ করে এই রায় দেন হাইকোর্ট।