জুনের মধ্যে আসছে আরও ৬ কোটি করোনার টিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ১১:২৮ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আগামী জুনের মধ্যে আরও ৬ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে আসছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। এজন্য গ্রাসরুট লেভেল পর্যন্ত সবাইকে ট্রেনিং দেয়া শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করা হবে সেগুলো কীভাবে ডিসপোজাল করা হবে সেই ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে টিকা দেয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা করছেন।
তিনি বলেন, ইপিআইয়ের (টিকা কার্যক্রম) যে ব্যাপক কার্যক্রম আছে, (করোনার টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে) সেটিকে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, প্রাইভেট সেক্টরকে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন।
যেহেতু সময় পাচ্ছি আমরা, আপাতত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে চিন্তা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদি অন্য কেউ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাপ্রুভালসহ (অনুমোদন) প্রস্তাব নিয়ে আসে, সরকার কাউকেই মানা করবে না। আমাদের যে কমিটি আছে তারা অ্যাপ্রুভ করবে।
তিনি বলেন, উনি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) বললেন, আরও ৬ কোটি ভ্যাকসিন কোভেক্সের মাধ্যমে মে-জুন মাসের মধ্যে আসবে। এক মাস আগে-পরে হতে পারে। প্রথম দফায় যে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসার কথা, তার মধ্যে দেড় কোটি ডোজ আসছে। দুটি ডোজ ভ্যাকসিন মিলে একটি টিকা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দ্বিতীয় দফায় আরও তিন কোটি মানুষের জন্য টিকা আসবে। ২০ শতাংশ মানুষকে এই টিকা দেয়া যাবে। সাড়ে চার কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে।
মাইনাস ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় করোনাভাইরাসের টিকা সংরক্ষণ হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গ্রাসরুট লেভেল পর্যন্ত গিয়ে টিকা দেয়ার স্ট্র্যাকচারই আমাদের নেই। একমাত্র কোল্ডস্টোরেজে রাখতে পারবেন, তারপর যখন বের করবে মাইনাস ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা...টেকনিক্যাল কমিটি ওনারা এটা দেখবে। ওনারা যদি মনে করেন আমাদের যে স্ট্র্যাকচার আছে সেটাকে মেজর কোনো চেইঞ্জ না করে টিকা দেয়া যায় এবং হ্যাজার্ড হবে না, এটা টেকনিক্যাল বিষয়।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা যা জানি, মর্ডানা এবং ফাইজার দুটার টিকাই মাইনাস ২৫ ডিগ্রি এবং আরেকটা মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে সংরক্ষণ করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম এক সময় মঙ্গাপীড়িত ছিল, সেখানে যদি এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হয় তবে গবেষণা হবে, ফার্মিং হবে। এরমধ্যে দিয়ে তাদের অবস্থার আরও উত্তরণ হবে। ওই এলাকার লোকজনের কৃষি ও সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসরণ করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে মোট ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এরমধ্যে ৪৬টি সরকারি এবং ১০৭টি বেসরকারি। আর দেশে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যে টেকনোলজি ডেভেলপ হবে তা কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটে বিস্তৃত হলে ওই লোকজন ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ভুট্টা, শাক-সবজি, মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া, মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের অবস্থার আরও উন্নত করতে পারবে।
তিনি বলেন, ১০-১২ বছর ধরে ওখানে মঙ্গা নেই। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ওই এলাকার লোকজনের কৃষি ও সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর। ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার থাকবেন। আইনে সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নিয়ন্ত্রণ করবে।