সুতাং নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪১ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
সুতাং নদী ও শৈলজুড়া খাল রক্ষায় ব্যর্থতা কেন সংবিধান বিরোধী, বেআইনি, আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা সরকারি-বেসরকারি ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
গতকাল রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি রুল জারি করে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক জনস্বার্থমূলক মামলার প্রাথমিক শুনানির পর এ রুল জারি করা হয়। রুলে হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, লাখাই এবংচুনারুঘাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সুতাং নদী ও এর সঙ্গে যুক্ত শৈলজুড়া খালকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা না করা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে অবৈধ ও অননুমোদিত কার্যক্রমের ফলে পানি, বায়ু, মাটি ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ প্রদান না করার কারণ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
বেলার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বেলার মামলায় বিবাদী করা হয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পানিসম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, প্রাণ-আরএফএল গ্রæপ, স্কয়ার ডেনিম লিমিটেড, পাইওনিয়ার ডেনিম লিমিটেড, সিলভান অ্যাগ্রিকালচার লিমিটেড, স্টার পোরসেলিন লিমিটেড, হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো লিমিটেড, হবিগঞ্জ টেক্সটাইল লিমিটেড, রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মেইজ এডভান্স অ্যাগ্রো রিফাইনারিস (মার) লিমিটেড, সায়হাম নীট কম্পোজিট লিমিটেড, সান বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেড, গ্লোরী অ্যাগ্রো লিমিটেড ও রাসা কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের।
এজাহারে বলা হয়, বিবাদী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কারখানায় এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) এবং অন্য দূষণনিরোধক যন্ত্র নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবহার করছে না। এসব পরিচালনা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তাদের পরিবেশগত ছাড়পত্র স্থগিত রাখার দাবি করা হয় আবেদনে। আগামী দুই মাসের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালককে একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ ছাড়া দুই মাস পর পর সুতাং নদী ও শৈলজুড়া খালের পানি পরীক্ষা করতে বলেছে হাইকোর্ট। আর তিন মাস পরপর আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।