যুক্তরাজ্যের ‘রেড-লিস্ট’ থেকে বাংলাদেশকে সরানোর অনুরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার কমে আসার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের অতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা (রেড-লিস্ট) থেকে সরানোর অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
গতকাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ অনুরোধ জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে উদ্ধৃত করে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধের কথা উল্লেখ করা হয়।
মোমেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশের জোরালো টিকাদান কর্মসূচি ও কোভিড সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশে কমে আসা এবং সাত হাজারের বেশি ব্রিটিশ-বাংলাদেশির আটকে পড়ার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের উচিত বাংলাদেশকে কোভিড লাল-তালিকাভুক্ত দেশ থেকে বাদ দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করা।
এর জবাবে সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার আশ্বাস দিলেও এ ধরনের তালিকার পেছনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনা মুখ্য থাকার কথা বলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
৯ এপ্রিল বাংলাদেশকে রেড-লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে যুক্তরাজ্য সোমবার পর্যন্ত ৬২ দেশকে রেড-লিস্টভুক্ত করে। রেড-লিস্টভুক্ত দেশের নাগরিকদের বাইরে থেকে ঢুকতে দিচ্ছে না দেশটি। এসব দেশ থেকে ব্রিটিশ নাগরিকরা ঢুকতে পারলেও থাকতে হচ্ছে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিনে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের ‘দৃঢ় সম্পর্কের’ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আফগানিস্তান ও রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটসহ নানা বিষয়ে একযোগে কাজ করার কথাও বলেন তারা। ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্যিক সম্পর্কের আলোচনার সময় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের জন্য শুল্ক বিহীন জিএসপি ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
এ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ব্রিটিশ রিটেইলারদের ক্রয়াদেশ বাতিল ও পেমেন্ট না দেওয়ার বিষয় তুলে ধরেন তিনি। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ সফরের জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাবকে আমন্ত্রণও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমও এ ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন।