খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া উচিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪২ এএম, ৪ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া উচিত বলে সংসদকে জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-অর রশীদ।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে আলোচনায় একথা বলেন তিনি। সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
হারুন-অর রশীদ বলেন, আইনমন্ত্রী একটি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। সারাদেশে এটি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বিদেশে চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়া আবেদন করেছেন। তিনি কিন্তু মুক্তির জন্য আবেদন করেননি। সেটা তিনি (আইনমন্ত্রী) আরেক জায়গায় (৪০১ ধারা) নিয়ে গেলেন।
আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে হারুন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সামনে বসা আছেন। সব মন্ত্রীরা বলেছেন। সে কথা তো আপনি বললেই পারতেন। এ বিষয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি মনে করেন ৪০১ ধারায় তাঁর (খালেদা জিয়া) যে আবেদন, সেটা তিনি মঞ্জুর ও শিথিল করবেন এবং করতেও পারেন। এটা নিয়ে মাননীয় স্পিকার আমি কোনো বিতর্ক করতে চাই না। আমি মনে করি, তাঁর যে অবস্থা, সেই অবস্থায় তাঁকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া উচিত।
হারুন-অর রশীদ বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য গোটা হাউজকে অপমান করেছে, এটা সংসদে অপসারণ হওয়া দরকার।
তিনি বলেছেন, হাসপাতালে মিশিন চলে না, চেয়ার, লোক লাগবে, এগুলো তো আপনাদের (এমপি) দেখতে হবে। কিন্তু আপনারা তো সেটি দেখেন না। নার্স, ডাক্তার ও যন্ত্রপাতি লাগলে তো আপনাদেরই বলতে হবে। শুধু অভিযোগ দিলে তো হবে না। যা প্রয়োজন আছে তার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান হিসেবে এগুলো দেখার দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তায়।
বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, মাননীয় স্পিকার অবজেকশন আছে। আমি আপনার (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) কাছে কপি পাঠিয়েছি। ১০০ বেডের হাসপাতাল করার পরে ২০২০ সালে ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রী, সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বরাবর শূন্যপদে চাহিদা দিয়ে একাধিকবার আমি নিজে গিয়েছি। এরপর তিনি কিভাবে বলেন। মন্ত্রণালয়ে গেলে তাকে (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) পাওয়া যায় না। আর তিনি এ ধরনের কথা বলে দিলেন। আমি করি, এই অংশটুকু ইক্সপানস হওয়া দরকার। গোটা হাউজে তো ৯০ ভাগের বেশি সরকারি দলের এমপি। তারা কি কেউ সরকারি হাতাপাতালে দায়িত্ব পালন করেন না। এটা তার বক্তব্য স্পষ্ট।
ঈদুল আজহার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে জন্য কোরবানির পশু পরিবহন, কোরবানির পশু বিক্রয় বিষয়ে সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ঘোষণা করা দরকার। না হলে এটা নিয়ে একটা সংকট তৈরি হবে।