মগবাজার ঘটনার দায় সরকারকে অবশ্যই নিতে হবে - এমপি হারুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ এএম, ২৯ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রবিবার রাতে রাজধানীর মগবাজারের মত ব্যস্ততম জায়গায় যে ঘটনাটি ঘটেছে এর দায় সরকারকে নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুন উর রশিদ।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এমপি হারুন বলেন, মাননীয় স্পিকার আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি কিছুদিন আগে গত বছর নারায়ণগঞ্জে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় প্রায় ৪০ জনের অধিক মানুষ মারা গেছেন। অনেকে আহত হয়েছিলেন, যাদের দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তারপর গতকালকে রাজধানীর মগবাজারের মত ব্যস্ততম জায়গায় যে ঘটনাটি ঘটেছে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, এখানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী নাই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের যারা এই ট্রান্সফরমারের দায়িত্বে আছেন সেগুলোর সেফটি আছে কিনা সেটা লক্ষ্য রাখা দরকার ছিলো। কারণ এখন যত্রতত্র এখানে সেখানে রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠছে। আমরা বিভিন্ন দেশে ঘুরে দেখি লেখা আছে সেফটি ফাস্ট। কিন্তু বাংলাদেশের কি অবস্থা মাননীয় স্পিকার? আজকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আজকে বিদ্যুৎ বিভাগের মন্ত্রী এখানে নেই। তাদেরকে তো জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে।
বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, রাজধানীর মত জায়গায় যদি আজকে এরকম একটা ঘটনা ঘটে সেখানে কতগুলো বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কতগুলো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর দায় কে নেবে? আপনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো এই বিভাগকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিতে হবে। ঢাকা শহরে বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় যারা বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করেছে তার সেফটি নিশ্চিত করতে হবে। তারপর বেআইনি গ্যাস ও বিদ্যুৎ যারা সরবারহ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলেতো মানুষ মরবেই। তাই আপনার মাধ্যমে এই বিষয়গুলোর প্রতি মাননীয় সংসদ নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এমপি হারুন বলেন, মাননীয় স্পিকার গত ১৭ তারিখ আমি এই সংসদে দাঁড়িয়ে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছি। আমার পরে আমাদের সদস্য আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২) যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সংশোধন হওয়া দরকার। এটা হওয়া একান্তই প্রয়োজন। তা নাহলে আমরা সবাই গুনাহগার হবো।
তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, তিনি সংবিধান মানেন, সংবিধানের আলোকে শপথ নিয়েছেন। সংবিধানের প্রস্তাবনায় যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলার জায়গা রয়েছে সেখানে তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বলেছেন, কোরআনে ধর্মনিরপেক্ষতার জায়গা নাই। তাহলে কোরআনের যে আয়াতটি ‘লাকুম দিনউকুম ওলিয়াদিন’ তোমার ধর্ম তোমার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে। এটা কি আমরা আওয়ামী লীগ কোরআনে লিপিবদ্ধ করেছি, না এটা কোরআনের বাণী? কোরআনের খন্ডিত অংশ পাঠ করে মানুষের মধ্যে ভুল ব্যাখ্যা ছড়িয়ে দিয়ে জঙ্গিবাদ তৈরির মূল কারিগর বিএনপি। এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে। আমি আপনার মাধ্যমে মাননীয় স্পিকার এতটুকো বলতে চাচ্ছি যে, সূরা কাফিরুনের লাস্ট যে আয়াতটা তিনি পড়েছেন তারও সঠিক উচ্চারণ উনি করেননি। সূরা কাফিরুনের যে মূল অর্থ তা হলো, তোমরা যাদের ইবাদত করো আমি তাদের ইবাদত করি না। আমি যার ইবাদত করি তোমরা তার ইবাদত করো না। তোমাদের কর্মফল তোমাদের জন্য এবং আমার কর্মফল আমার জন্য। আল্লাহপাক সূরা মায়িদায় সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে নির্ধারণ করে দেয়া হলো’। এখানে আল্লাহ কোরআনে বলেননি যার যার ধর্ম সে সে পালন করো। আমি আশা করবো মাননীয় স্পিকার আপনি এটার দায়িত্ব নিবেন। তা নাহলে কোরআনের ব্যাখ্যাটা ভুল যাবে।