৪৯ মামলার ‘গায়েবি বাদী’কে খুঁজতে সিআইডিকে নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৬ এএম, ১৫ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩০ এএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
একরামুল আহসান কাঞ্চন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪৯ মামলার ‘গায়েবি বাদী’কে খুঁজে বের করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালত মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর সংযুক্তির আদেশ দিয়েছেন।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি রিট মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন ৬০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়ে আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। আদালতে রিটকারী একরামুলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এর আগে গত ৭ জুন মামলার ‘গায়েবি বাদী’কে খুঁজে বের করতে সিআইডির প্রতি নির্দেশনা চেয়ে একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে আইনজীবী এমাদুল হক বসির এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (সিআইডি), র্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে মামলার ভুয়া বাদীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনার পাশাপাশি একই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রিট আবেদনকারীর পক্ষে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয় বলে রিট আবেদনে বলা হয়েছে। কিন্তু একটি মামলারও বাদীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় তিনি অনেক মামলায় খালাস পেয়েছেন। এরপরও তার বিরুদ্ধে এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এসব মামলায় তিনি ১ হাজার ৪৬৫ দিন জেলে খেটেছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়।