৪৯ মামলায় নাজেহাল বৃদ্ধ : প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৬ এএম, ৮ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, মানব পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা মাথায় নিয়ে রিট করেছেন রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চন। রিটে গায়েবি মামলার বাদীদের খুঁজে বের করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির এ রিট দায়ের করেন। একই সঙ্গে মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একরামুল আহসান কাঞ্চনের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (সিআইডি), র্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটটি আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির বলেন, ঢাকার শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, মানব পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। কিন্তু একটি মামলারও বাদী খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় তিনি অনেক মামলায় খালাস পেয়েছেন। তারপরও তার বিরুদ্ধে এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এসব মামলায় একরামুল আহসান এক হাজার ৪৬৫ দিন জেলে খেটেছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিটকারী একরামুল আহসান কাঞ্চন বলেন, হত্যা, ধর্ষণ, চুরি-ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও মানবপাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমন কোনো অভিযোগ নেই, আমার ওপর প্রয়োগ করা হয়নি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মামলার বাদীদের খুঁজে পাইনি। এসব মামলায় দীর্ঘদিন জেলও খেটেছি। এর মধ্যে অনেক মামলায় আদালত বাদী খুঁজে না পাওয়ায় খালাস পেয়েছি।