বাজেট ব্যবসাবান্ধব বাড়বে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান : অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪১ এএম, ৫ জুন,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৯ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসাবান্ধব বাজেট হওয়ায় উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ শুক্রবার (৪ জুন) বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেট ব্যবসাবান্ধব। আমি মনে করি, ব্যবসায়ে সুযোগ-সুবিধা বাড়লে উৎপাদন বাড়বে। আর উৎপাদনে যেতে হলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। কারণ লোকবল ছাড়া উৎপাদন সম্ভব নয়। এ কারণে ব্যবসায়ীদের জন্য বাজেটে সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থবছরে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
ঘাটতি পূরণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক খাত থেকে নেওয়া হবে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে ৫ হাজার এক কোটি টাকা।
করোনা মহামারির মধ্যেও গত বছর বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮ দশমিক ২ শতাংশ ধরেছিল সরকার। তা অর্জিত না হওয়ায় এবার সেই লক্ষ্যে রাশ টেনেছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে। আমাদের অর্থনীতির অবস্থা এখন সারা বিশ্বের আলোচনার বিষয়। লক্ষ্য ঠিক মতো বাস্তবায়ন করতে পারলে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
গত দুই বছর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঊর্ধ্বগতির উদাহরণ তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৯ সালের ৩০ জুন আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০ সালের ৩০ জুন তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছরে বেড়েছে ৪ বিলিয়ন। এরপর ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর তা গিয়ে দাঁড়ায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বৃহস্পতিবার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে। দুই বছরও রিজার্ভ বেড়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার। তার মানে আমাদের যোগ্যতা আছে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।