আবারো প্রশ্নের মুখে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:২২ পিএম, ৯ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫৪ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
আবারো প্রশ্নের মুখে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বোলিং কৌশল। গায়ানায় সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভালো বোলিং করা সত্ত্বেও সাকিব আল হাসানকে আক্রমণে আনেননি রিয়াদ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বেলায়ও একই কাজ করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ম্যাচের ত্রয়োদশ ওভারে মোসাদ্দেককে আক্রমণে আনেন রিয়াদ। উইকেট মেডেন নেন মোসাদ্দেক। কিন্তু দু’জন ডানহাতি ব্যাটার থাকার যুুক্তি দেখিয়ে তাকে দিয়ে আর বোলিং করাননি মাহমুদুল্লাহ।
মোসাদ্দেকের ক্ষেত্রে একটা যুক্তি দাঁড় করালেও সাকিব প্রসঙ্গে রিয়াদের কাছ থেকে কোনো জবাব মেলেনি। কারণ, তৃতীয় ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেই আসেননি তিনি। তার জায়গায় প্রেসে কনফারেন্সে আসা লিটন দাস নির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। শুধু বলেন, ‘মাঠ তো চালান অধিনায়ক।’ বৃহস্পতিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম ওভারে সাকিবকে আক্রমণে আনেন রিয়াদ।
প্রথম বলেই সাফল্য পান সাকিব। সাজঘরে ফেরান ভয়ঙ্কর ওডিন স্মিথকে। ওই ওভারে সাকিবের খরচ মাত্র ৪ রান। তবে নিজের দ্বিতীয় ওভার করার জন্য সাকিবকে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ১৭তম ওভার পর্যন্ত। ওই ওভারেও ভালো করেছেন তিনি। দিয়েছেন মাত্র ৮ রান। কিন্তু কাইল মায়ার্স-নিকোলাস পুরানের ৮৫ রানের জুটিতে ম্যাচ বাংলাদেশের হাত ফসকে বেরিয়ে যায় ততক্ষণে। মাঝের ওভারগুলোকে কেন সাকিবকে দিয়ে বোলিং করালেন না রিয়াদ, সেটাই প্রশ্ন।
মায়ার্স-পুরান দু’জনই বাঁহাতি ব্যাটার ছিলেন বলেই কি সাকিবকে আক্রমণে আনেননি টাইগার অধিনায়ক? দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মোসাদ্দেকের ক্ষেত্রে তো অনেকটা এমন ব্যাখ্যাই দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাঁহাতিদের বিপক্ষে ১৫০ উইকেট রয়েছে সাকিবের। শুধু টি-টোয়েন্টিতেই নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে সহকারী অধিনায়কের ভূমিকায় রয়েছেন লিটন দাস।
সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে সাকিবের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে লিটন বলেন, ‘দুই দিক দিয়েই বোলিং করানো যায়। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সময় ডানহাতি বোলারও বল করে, এতে সমস্যা হয় না। তবে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অধিনায়কের। আজ তার এই সিদ্ধান্ত যদি আমাদের পক্ষে যেতো তাহলে এই প্রশ্ন হয়তো উঠতো না। মাঠ তো আমি চালবো না, আর দশটা খেলোয়াড় চালাবে না। অধিনায়কের যে সিদ্ধান্ত সেটিই অনুসরণ করার প্রত্যাশা থাকা উচিত আমাদের।’
এদিকে, ম্যাচের পর মাইক্রোফোন নিয়ে রিয়াদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘সম্ভবত ১০ রান ঘাটতি ছিল আমাদের। ১৭০ রানের বেশি করতে পারলে ভালো হতো। লিটন ও আফিফ দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। বোলিংয়ের শুরুতেও আমরা ভালো ছিলাম। তবে ওদের দুই ব্যাটার (পুরান-মায়ার্স) সত্যিই দারুণ খেলেছে। ওদের জুটি ম্যাচটা আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।’