বার্সা ক্যারিয়ারে মেসির প্রথম লালকার্ড
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৩২ পিএম, ১৮ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে আথলেতিক বিলবাওয়ের কাছে হেরেছে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। ম্যাচে রেফারির শেষ বাঁশি বাজার অল্প আগে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি। মেজাজ হারিয়ে বিলবাওয়ের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে বসেন বার্সা অধিনায়ক।
এই অভিযোগে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নিয়ে মেসিকে লাল কার্ড দেখানো হয়। বার্সেলোনার হয়ে আর্জেন্টাইন তারকার এটিই প্রথম লাল কার্ড পাওয়ার ঘটনা। ৭৫৩তম ম্যাচে এসে এই স্বাদটি পেলেন তিনি।
আঁতোয়া গ্রিজম্যানের জোড়া গোলে দুইবার এগিয়ে যাওয়ার পরও জিততে পারল না বার্সেলোনা। সেভিয়ায় রবিবার রাতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালে ৩-২ গোলে জিতেছে বিলবাও। তৃতীয়বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপ এর শিরোপা জিতল আথলেতিক বিলবাও।
বিলবাও সবশেষ এর শিরোপা জিতেছিল ২০১৫ সালে, সেবার বার্সেলোনাকে হারিয়েই শিরোপা যেতে তারা। দুই লেগের লড়াইয়ে কাতালান ক্লাবটিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা।
বল দখলের প্রশ্নে সব ম্যাচের মতোই শুরু থেকে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা, তবে এদিনের চিত্রটা ছিল ভিন্ন। প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতে ও নিজেদের খেলা গুছিয়ে নিতেই ব্যস্ত সময় কাটছিল তারা। লং পাসে তাদের রক্ষণে বারবার ভীতি ছড়াচ্ছিল বিলবাও। যদিও তারাও পারছিল না কোনো সুযোগ তৈরি করতে।
ম্যাচের ২৬তম মিনিটে গোলের উদ্দেশে প্রথম শট দেখা যায়। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে আন্দের কাপার বুলেট গতির শট লাফিয়ে এক হাত বাড়িয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
১১ মিনিট পর প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মেসির জোরালো শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। ৪০তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা।
মেসির বাড়ানো বল ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে শট না নিয়ে ফিরতি পাস দেন জর্দি আলবা। তবে প্রতিপক্ষের বাধার মুখে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি বার্সেলোনা অধিনায়ক। বিলবাও ডিফেন্ডাররাও পারেনি বিপদমুক্ত করতে, ফাঁকায় বল পেয়ে নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন গ্রিজমান।
জবাব দিতে মোটেও দেরি করেনি সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারানো বিলবাও। ইনাকি উইলিয়ামসের ক্রসে কাছ থেকে ডান পায়ের টোকায় বল জালে মারেন অস্কার দে মার্কোস। এখানে দায় এড়াতে পারবেন না ডিফেন্ডার আলবা। পেছনে থাকা প্রতিপক্ষের দিকে নজর না দিয়ে শুধু বলেই চোখ রেখেছিলেন তিনি।
৭৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে আলবার ছয় গজ বক্সের মুখে বাড়ানো নিচু পাস ফাঁকায় পেয়ে প্লেসিং শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন গ্রিজমান।
ব্যবধান ধরে রেখে শিরোপার সুবাস পাচ্ছিল বার্সেলোনা। তখনই আসিয়েরের আঘাত। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ডান দিক থেকে ইকের মুনিয়াইনের দারুণ ফ্রি-কিকে কাছ থেকে বলে পা লাগিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বিলবাও অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে ইনাকির অসাধারণ নৈপুণ্যে এগিয়ে যায়। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে জায়গা বানিয়ে জোরালো কোনাকুনি শট নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড; বল দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।