সলসবার্গকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৩২ পিএম, ৯ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল অস্ট্রিয়ান ক্লাব সলসবার্গ। তবে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বায়ার্নের মাঠে এসে খেই হারায় তারা। প্রথমার্ধেই হজম করে ৪ গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে একটি শোধ দিয়ে হজম করে আরও তিনটি। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৮-২ ব্যবধানে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয় অস্ট্রিয়ার ক্লাবটি। অন্যদিকে প্রত্যাশিতভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় বায়ার্ন।
এমন বড় জয়ে বাভারিয়ানদের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ত লেভানডোভস্কি হ্যাটট্রিক করেছেন। জোড়া গোল করেছেন থমাস মুলার। একটি করে গোল করেন সার্জি জিনাব্রি ও লিরয় সানে।
ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ১১ মিনিটে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। রবার্ত লেভানডোভস্কিকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন সলসবার্গের ম্যাক্সিমিলিয়ান উবের। পেনাল্টি থেকে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন লেভানডোভস্কি। ব্যবধান হয় ২-১। ১৯ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। আবারও লেভানডোভস্কিকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয়। পোলিশ তারকা আবারও পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন।
২৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পোল্যান্ডের স্ট্রাইকার লেভানডোভস্কি। এ সময় বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ারের কিক মাঝমাঠে পায় লিরয় সানে। তিনি সামনে বাড়িয়ে দেন লেভানডোভস্কিকে টার্গেট করে। সেই বল ধরতে সলসবার্গের গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে আসেন। কিন্তু বল ধরতে ব্যর্থ হন এবং বক্সের লাইনের সামনে পড়ে যান। বল গিয়ে পোস্টে লেগে ফিরে আসে। লেভানডোভস্কি দৌড়ে গিয়ে ফাঁকা পোস্টে বল জালে পাঠান। হয়ে যায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে দ্রুততম হ্যাটট্রিক।
এটা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে লেভানডোভস্কির পঞ্চম হ্যাটট্রিক। তার চেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক আছে কেবল লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। তারা দুজন ৮টি করে হ্যাটট্রিক করেছেন। ম্যাচের ৩০ মিনিটেই ব্যবধান হয় ৫-১। এ সময় সার্জি জিনাব্রি বক্সের মধ্য থেকে আড়াআড়ি শটে গোল করেন। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জার্মানির ক্লাবটি।
বিরতি থেকে ফিরেই ব্যবধান ৬-১ করে ফেলে বায়ার্ন। ৫৪ মিনিটের মাথায় গোল করেন থমাস মুলার। এ সময় ডানদিক থেকে তাকে বল বাড়িয়ে দেন লিরয় সানে। জোরালো শটে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি।
৭০ মিনিটে অবশ্য একটি গোল শোধ দেয় সলসবার্গ। পাল্টা আক্রমণে কাছের পোস্ট দিয়ে গোল করেন মাউরিত কেজারগার্ড। তাকে গোলে সহায়তা করেন ব্রেন্ডেন আরনসন। ৮৩ মিনিটে লিরয় সানের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন মুলার। আর বায়ার্ন এগিয়ে যায় ৭-২ ব্যবধানে।
৮৬ মিনিটে সলসবার্গের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন লিরয় সানে। এ সময় ডি বক্সের বাইরে থেকে ব্যাকহিলে তাকে বল বাড়িয়ে দেন লেভানডোভস্কি। বামদিক থেকে আড়াআড়ি শটে গোল করেন তিনি। দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্ন এগিয়ে যায় ৮-২ ব্যবধানে।
শেষ পর্যন্ত এই বড় ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইউলিয়ান নাগেলসম্যানের শিষ্যরা।