মেসির হাতে আর্জেন্টিনার প্রথম শিরোপা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:২১ পিএম, ১১ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫২ পিএম, ২৬ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
এই একটা শিরোপার জন্য অপেক্ষাটা ২৮ বছরের। হ্যাঁ, ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তোলার পর আর্জেন্টিনার নেই কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা।
অবশেষে ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছর পর কোন বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। মেসি পেলেন প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা। অ্যানহেল ডি মারিয়ার করা একমাত্র গোলে কোপা আমেরিকার ফাইনালে লিড নেয় লিওনেল মেসির দল।
বিশ্বকাপ আসত, আসত কোপা, চলেও যেত। কিন্তু আর্জেন্টিনার অপেক্ষাটা যেন ফুরাতো না। অবশেষে ২৮ বছর পর সেই অপেক্ষার অবসান হলো। আর্জেন্টিনা জিতল কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা।
লিওনেল মেসি অবশেষে হাত দিয়ে ছুঁতে পারলেন একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা। ফুটবলের অপার এক রহস্যেরই যেন সমাধান হলো। ম্যাচের শুরু থেকে ব্রাজিল পায়ে বল রেখে গোল দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
রদ্রিগো ডি পলের দেয়া লং বল থেকে ডি মারিয়া নিখুঁতভাবে ব্রাজিলের গোলকিপার এডারসনের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন। এর আগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে টানা দুটি কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা ফাইনালে গিয়েও হেরে যায়।
২০১৪ বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলেও পরেননি। এরপর দুটি কোপা–শিরোপার স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়েছে তাঁর। আর্জেন্টিনার জার্সিতে হাসতেই ভুলে গিয়েছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়ে অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। যদিও দ্রুতই ফিরে এসেছেন এবং পরবর্তীতে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কোপা আমেরিকা দিয়ে প্রথম কোন আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের স্বাদ পেলেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
ম্যাচের শেষে লিওনেল মেসি ও নেইমার একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। মাঠের যে কোণে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা ছিলেন, সেখানে গিয়ে উল্লাসে মাতে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। লিওনেল মেসিকে তুলে হাওয়ায় ভাসিয়ে উল্লাস করেন সতীর্থরা। কোপা আমেরিকার সেরা ফুটবলারের পুরষ্কার পেয়েছেন লিওনেল মেসি।
কোপা আমেরিকার অন্যান্য ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ফাউল হয়েছে প্রচুর, ব্রাজিল করেছে ২২টি, আর্জেন্টিনা ১৯টি ফাউল করেছে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল বলের নিয়ন্ত্রণ রাখলেও আর্জেন্টিনার জমাট রক্ষণের তালা খুলতে পারেননি কেউ। রিচার্লিসন বল জালে জড়ান একবার, কিন্তু তিনি ছিলেন অফসাইড।
আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ শেষদিকে ডি বক্সের ভেতরে গোল ঠেকিয়ে দেন।