শক্তিশালী আবাহনীকে হারিয়ে দিলো মিরাজ-খালেদদের খেলাঘর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৫২ এএম, ৮ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কাগজে-কলমে রীতিমতো জাতীয় দলেরই ছায়া দল আবাহনী লিমিটেড। মুশফিকুর রহীমের নেতৃত্বাধীন দলটিতে রয়েছেন জাতীয় দলের এক ঝাঁক তারকা ক্রিকেটার। প্রত্যাশামাফিক ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুটাও দুর্দান্তই করেছিল তারা। প্রথম তিন রাউন্ড শেষে অপরাজিত থেকেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছিল আবাহনী। কিন্তু চতুর্থ রাউন্ডে তাদের পা হড়কাল তুলনামূলক দুর্বল দল খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির বিপক্ষে। সাভারের বিকেএসপিতে তিন নম্বর মাঠে আবাহনীকে ৮ রানে হারিয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদদের খেলাঘর। আগে ব্যাট করে খেলাঘর দাঁড় করায় ১৬৪ রানের সংগ্রহ। জবাবে তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি আবাহনী। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই বড় ধাক্কা খায় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবাহনীর ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে খালি হাতে ফেরান খেলাঘরের অফস্পিনার রনি চৌধুরী। সেই ওভার থেকে কোনো রানই করতে পারেনি আবাহনী। আগের তিন ম্যাচে আবাহনীর জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু গতকাল তিনি ব্যর্থ। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে রনির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮ বলে ৫ রান করেন মুশফিক। মাত্র ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় আকাশী-নীলরা। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৯.৫ ওভারে ৮৫ রান যোগ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ নাইম শেখ। দলীয় সংগ্রহ এক শ ছোঁয়ার আগে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে আউট হন শান্ত। তার ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ১ ছয়ের মার। পরে নাইমও আউট হন ৪৯ রানে। তিনি এ রান করেন ৪২ বল খেলে। ম্যাচটি জিততে শেষের ৩৩ বলে ৫২ রান করতে হতো আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। কিন্তু তারা দুজন মিলে করতে পারেন ৪৩ রান। ফলে মৌসুমের প্রথম পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পায় আবাহনী। মোসাদ্দেক ১৯ বলে ২১ ও আফিফ ১৮ বলে ২২ রান করেন। খেলাঘরের পক্ষে সফলতম বোলার রনি চৌধুরীই। তার শিকার ২৩ রানে ২ উইকেট। এছাড়া খালেদ আহমেদ নিয়েছেন ২টি উইকেট। কোনো উইকেট না পেলেও কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করেছেন মেহেদি মিরাজ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা খেলাঘরকে ১৬৪ রানের সংগ্রহ এনে দেয়ার বড় কৃতিত্ব সিলেটি ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন তান্নার। ইনিংসের ১৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৬৬ রান করেন ইমতিয়াজ। তিনিই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এছাড়া খেলাঘরের পক্ষে ত্রিশ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন তিন নম্বরে নামা মেহেদি মিরাজও। ইমতিয়াজের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ার পথে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ২৫ বলে ৩৩ রান করেন এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। চার ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে উঠে এসেছে খেলাঘর।