জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থীদের কাছে ভ্যাকসিন প্যাটেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৩০ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৪ পিএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থীদের কাছে করোনার টিকার ওপর আরোপিত বুদ্ধিবৃত্তিক স্বত্বাধিকার আইন সাময়িকভাবে প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন বিশ্বের ১৪০ জনের বেশি সাবেক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং নোবেল লরিয়েট।
আজ বুধবার ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং নোবেল লরিয়েটরা তিন চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী অ্যানালেনা বেরবক, ওলাফ শল্জ ও আরমিন ল্যাসেটকে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিন জনের প্রতি কোভিড-১৯ টিকার বুদ্ধিবৃত্তিক স্বত্বাধিকার রদ ও টিকা প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে দেওয়ার পক্ষে থাকার এবং যে কোনো ভবিষ্যৎ কোয়ালিশন সরকারের নীতি হিসেবে এ সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করার ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক, কলম্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, মালাওয়ির সাবেক প্রেসিডেন্ট জয়সে বান্ডা এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর জোসেফ স্টিগলিৎজ, প্রফেসর ফ্রাঁসোয়া বাররে সিনোসি, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও এলফ্রিডে জেলিনেক রয়েছেন।
স্বাক্ষরকারীরা বলেন, অতি উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পুরোপুরি টিকা সুরক্ষা পেলেও, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এখন পর্যন্ত ২ শতাংশেরও কম প্রাপ্তবয়স্ক টিকা পেয়েছেন। এ অবস্থায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আইন সাময়িকভাবে রদের বিষয়ে জার্মানির ক্রমাগত বিরোধিতায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে জার্মানি একরকম একাই টিকার স্বত্বত্যাগের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। এ বিরোধিতার অবসান ঘটলে বিশ্বব্যাপী সমস্যাটির সমাধান হয়ে যাবে।
চিঠিতে বিশেষভাবে বলা হয়, কিছু ওষুধ কোম্পানির একচেটিয়া কর্তৃত্বের অবসান ঘটানোর মাধ্যমে সব জাতির কাছে টিকা প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে দিয়ে মহামারি অবসানে সাহায্য করার ক্ষমতা এখন একমাত্র জার্মানির হাতে।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক বলেন, ‘এই বিশেষ প্রেক্ষাপটে ‘ট্রিপস’ রদে জার্মানির সমর্থন একটি স্পষ্ট সংকেত দেবে। এ সংকেতটি হচ্ছে- টিকা ও চিকিৎসার ব্যাপারে সব মানুষের দ্রুত সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী প্রফেসর জোসেফ স্টিগলিৎজ বলেন, ‘জার্মানির নতুন চ্যান্সেলরের এ ভয়াবহ মহামারির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার অনন্যসাধারণ ক্ষমতা থাকবে।’ ক্লাব দে মাদ্রিদ, ইউনূস সেন্টার এবং ইউএনএইডসসহ ৭০টিরও বেশি সংস্থার জোট পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সমন্বয় করা এই চিঠিতে আরও বলা হয়, উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে না বাড়ালে টিকার ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য চলতেই থাকবে। বেশি আয়ের দেশগুলো এখন নিজেদের নাগরিকদের বুস্টার শট দেওয়া শুরু করছে।
কিন্তু, সারা বিশ্বকে টিকার আওতায় আনার জন্য যে পরিমাণ টিকা প্রয়োজন, সরবরাহ সেই তুলনায় অনেক কম।