আফগান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে চীন, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৪৪ এএম, ৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৩০ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আফগানিস্তান জয়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছে তালেবান। এমন পরিস্থিতে বৈঠকে বসছেন ইরান, রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আফগান ইস্যুতে প্রতিবেশী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে। খবরে বলা হয়, শনিবার ইরান, রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে টেলিফোন আলাপে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর তারা ভার্চুয়াল বৈঠকে বসার ব্যাপারে একমত হন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহিয়ান সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। এ সময় তাদের মধ্যে আফগানিস্তানে একটি অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের বিষয় নিয়ে কথা হয় বলে জানা গেছে। এর আগে, গত মাসে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি ইরান সফরে যান এবং প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে আফগানিস্তান ইস্যুতে কথা বলেন।
এদিকে পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থ আইএসআইয়ের প্রধান লে. জেনারেল ফাইজ হামিদ শনিবার আফগানিস্তান সফরে গেছেন। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর জেনারেল হামিদ হচ্ছেন আফগানিস্তান সফরকারী সবচেয়ে পদস্থ পাকিস্তানি কর্মকর্তা। তালেবানের আমন্ত্রণে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সফরকালে আইএসআই প্রধান তার তালেবানি সমকক্ষ নাজিবুল্লাহসহ সংগঠনটির অন্য কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে কথা রয়েছে। জেনারেল ফাইজ হামিদের কাবুল সফর সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি আর কোনো তথ্য প্রচার করা হয়নি এবং তালেবানের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
জেনারেল হামিদ এমন সময় কাবুল সফরে গেলেন যখন তালেবান তাদের সরকার গঠনের তারিখ তৃতীয়বারের মতো পিছিয়ে দিয়েছে। ফলে এই জল্পনা জোরদার হয়েছে যে, সরকার গঠনের ব্যাপারে তালেবানের ভেতর অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে এবং বিষয়টির সমাধান করে দেয়ার জন্যই আইএসআই প্রধান কাবুল সফরে গেছেন। তালেবানের পরিকল্পিত সরকার গঠনের দিন আইএসআই প্রধানের কাবুল সফরকেই বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তালেবান। ২০০১ সালে তালেবানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো। এর জের ধরে সে বছরই আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা তালেবানের হাতছাড়া হয়। এর দীর্ঘ ২০ বছর পর চলতি বছরের ৩১ আগস্ট দেশটি থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।