অফিস কার্যক্রম পরিচালনার জরুরি নোটিশ ইভ্যালির
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০২ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী অফিস কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে জরুরি নোটিশ দিয়েছে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি।
আজ শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি সব কর্মকর্তাকে বাসায় থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয়।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ইভ্যালির কর্মকর্তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা বা ‘হোম অফিস’-এর নির্দেশনা দিয়ে জানায়, ‘সম্মানিত গ্রাহক এবং সেলার, আপনাদের জন্যই আমাদের সকল আয়োজন। আর তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার লক্ষ্যে, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইভ্যালি এমপ্লয়িগণ নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। 'হোম অফিস' পদ্ধতিতে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের একান্তভাবে কাম্য। ইভ্যালির উপর আস্থা রাখুন, পাশে থাকুন। আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।’
অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ‘প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া ঘোষণার’ পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উত্তরা র্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতারের পর রাতে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাসেল নিজেই স্বীকার করেছেন গ্রাহকের কাছে তার দেনার পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, ইভ্যালিতে মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিনিয়োগ বেশি ছিল না। তাদের ব্যবসায়ীক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে পুরনো গ্রাহকদের পণ্য ডেলিভারি দেওয়া। এভাবে যত গ্রাহক বাড়বে তত দায় বাড়বে। কেননা তাদের বর্তমানে যে সম্পদ আছে তা দিয়ে গ্রাহকের দায় মেটানো সম্ভব না। এভাবে দায় যখন বাড়বে তখন সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিলেন রাসেল।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের লক্ষ্য ছিল ইভ্যালির ‘ব্রান্ড ভ্যালু’ তৈরি করা। পরে দায়সহ কোনো প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেওয়া। এ উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্তির পর শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে দায় চাপানোর পরিকল্পনা নেন তারা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মো. রাসেলকে ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের হওয়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় শুক্রবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।