ফের লাগামহীন ভোগ্যপণ্যের বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৪ এএম, ২৮ আগস্ট,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০০ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ভোজ্য তেলের দাম আবারও বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। যাতে শঙ্কিত ভোক্তারা। তবে গতকাল শুক্রবার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল।
চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি, আমদানি করা ডাল ও চাল। মূল কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিচ্ছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
ফের লাগামহীন ভোগ্যপণ্যের বাজার। কারণ জানতে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের উপস্থাপিত পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়। যেখানে বলা হয়, ১ বছরের ব্যবধানে খোলা ও ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৩৮ থেকে ৭০ টাকা শতাংশ। চিনির দাম ২৬, আমদানি করা পেঁয়াজ ৩১, রসুন ৬৪ শতাংশ। আর ভালো উৎপাদনও চালের দামে স্বস্তি আনতে পারেনি। তবে আপাতত এসব পণ্যের দাম আর না বাড়ানো ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে দর। তার প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে। তাই এক সপ্তাহ আগে থেকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি ও আমদানি করা মসুর ডাল। কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে পণ্য দুটির দামে।
লকডাউনের আগে দাম বাড়ার পর আবারও নতুন করে বাড়তি দামের প্রস্তাব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর। এখানেও আন্তর্জাতিক বাজারের ধাক্কা। তবে এ ধাক্কা এখনও বাজারে প্রভাব ফেলেনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেলও। তবে প্রস্তাব আছে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর।
দাম বৃদ্ধির এই তালে সমস্যার আবর্ত থেকে বেরোতে পারেনি ক্রেতারা। তাইতো বাড়তি দামের বোঝা মাথায় নিয়েই বেঁচে থাকার তাগিদে পরিস্থিতি এক প্রকার মেনে নিয়েছেন তারা। সরবরাহ ভালো থাকলে পণ্যের দাম আগামীতে বাড়বে না বলে মত খাত সংশ্লিষ্টদের।
শীতের সবজি বাজারে দাম ব্যাপক চড়া :
রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ছোট ছোট ফুলকপি, টমেটো, শিম, গাজরসহ বেশকিছু সবজি। কিন্তু দামে লাগাম আসছে না। কেজিপ্রতি শিম কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। আবার কোথাও কোথাও ২০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর শ্যামলী সমবায় বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুম না আসতেই আমদানি হয়েছে নানান শীতকালীন সবজি। শিমের সঙ্গে ছোট ছোট ফুলকপির দাম প্রতিটি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা।
সবজির বাজার :
গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা ও টমেটো ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, শমা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কালো বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, চিচিঙা ৫০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, লাল গোল আলু ৩০ টাকা, সাদা গোল আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মূলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।
মাছের বাজার :
গত সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও বাজারে বড় ইলিশ মাছ (দেড় কেজি) প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা দরে। রুই মাছ আকারভেদে কেজি ২৪০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ আকারভেদে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, বেলে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা ৭০০, পাঙ্গাস মাছ প্রতি কেজি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজার :
গত সপ্তাহের মতো বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা ও প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায়। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।