জবাব দিতে ছয় মাস সময় চায় ইভ্যালি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৫৪ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপূর্ণ জবাব দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ছয় মাস সময় চেয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি।
গতকাল রবিবার (১ আগস্ট) ইভ্যালির পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে এ সময় চাওয়া হয়েছে। ঈদের আগে গত ১৯ জুলাই ইভ্যালিকে দেওয়া এ নোটিশের জবাব দেওয়ার শেষ সময় ছিল গতকাল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান গত রাতে বলেন, ‘ইভ্যালির পক্ষ থেকে কিছু একটা এসেছে। এখনো পড়ে দেখা হয়নি।’
গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল কমার্স খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশটি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে কোম্পানিটির ব্যবসা পদ্ধতিও জানতে চাওয়া হয়েছিল।
ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের কাছে পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের সঙ্গে ছয়টি বিষয় আবশ্যিকভাবে জানানোর কথা বলা হয়েছিল।
এতে বলা হয়, গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়ে যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ না করার পাশাপাশি মার্চেন্টদের কাছ থেকে পণ্য নিয়েও অর্থ পরিশোধ করছে না ইভ্যালি। এতে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বলা হয়েছিল, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে মোট ৪০৭ কোটি টাকা দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির কাছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার চলতি সম্পদ কেন? বাকি টাকা ইভ্যালির কাছে থাকলে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে, না থাকলে দিতে হবে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা।
এ ছাড়া গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে দায় এবং তা পরিশোধের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, ব্যবসা শুরুর পর থেকে গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালি কত টাকা নিয়েছে, মার্চেন্টদের কত টাকা পরিশোধ করেছে এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য খাতে কত ব্যয় করেছে, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জানানোর কথা বলা হয়েছিল। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা এবং নীতিমালা এবং নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন ব্যবসা পদ্ধতি জানানোর কথাও বলা হয়েছিল ইভ্যালিকে।
ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘অনেক তথ্য-উপাত্ত গোছাতে হবে। তাই মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা ছয় মাস সময় চেয়েছি। কিছু প্রশ্নের জবাবও দিয়েছি।’ নোটিশ পাওয়ার দিন মোহাম্মদ রাসেল বলেছিলেন, ‘সব প্রশ্নেরই সন্তোষজনক জবাব আমাদের রয়েছে। কারণ, সব স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার আওতায় হয়েছে।’