নির্দিষ্ট ব্যাচের নাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২১ এএম, ১৪ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০৪ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ দুই শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সারাদেশ থেকে নির্ধারিত ব্যাচের (ব্যাচ নং-৩২১১৩১২১) নাপা সিরাপের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। একইসাথে কারও কাছে ওষুধ থাকলে দ্রুত নিকটস্থ কেমিস্ট অফিসকে জানাতে এবং তা বিক্রি থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক আইয়ুব হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নাপা সিরাপের ব্যাচ (৩২১১৩১২১) সম্বলিত ওষুধ কারও কাছে থাকলে দ্রুত নিকটস্থ কেমিস্ট অফিসকে জানাতে হবে এবং তা বিক্রি থেকে বিরত থাকতে হবে। এর আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সব বিভাগীয় এবং জেলা কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে হবে। আরও বলা হয়, গত ১২ মার্চ দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মেসার্স বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃক উৎপাদিত নাপা সিরাপ (প্যারাসিটামল ১২০মিগ্রা./৫ মি.লি.) ব্যাচ নং- ৩২১১৩১২১, উৎপাদন তারিখ ১২/২০২১, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ ১১/২০২৩ নামীয় ওষুধটি সেবন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে একই পরিবারের ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামের দুই শিশু মারা যায়। তাদের মা লিমা বেগম অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের বলেন, নাপা খাওয়ার পর তারা মারা গেছে। ওই ঘটনা তদন্তে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।