টিকার বয়সসীমা ১৮ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৪ এএম, ২৪ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:২৭ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে টিকার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এর বাস্তবায়ন শুরু করবো।’ তিনি বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে টিকা প্রয়োগ নিয়ে ভাবা হচ্ছে। গ্রামের মানুষের অন্যান্য টিকা যেভাবে দেয়া হয়, সেভাবেই করোনার টিকা দেয়া যায় কি না, এ বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা করছে। যদি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকা কার্ড দেখেই টিকা নেয়া সম্ভব হবে, নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না।
খুরশিদ আলম বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগী টিকা নিতে চাইছেন না। এমনকি অনেক নার্স ও স্বাস্থ্যসেবী এখনও টিকা নেননি। এটা খুবই দুঃখজনক। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কম।’ ১৪ দিনের লকডাউনের ফলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও তেমন ফল আমরা দেখছি না। সাধারণত ৩-৪ দিন পর এর ফল দেখা যায়। তবে সীমান্ত এলাকায় আগের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে। ভারত থেকে অক্সিজেন আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।’
স্বাস্থ্যের ডিজি আরও বলেন, ‘করোনা রোগীর চাপ সামাল দিতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। এ সময় ঢাকার বাইরের রোগীদের জন্য বিভিন্ন জেলায় ফিল্ড হাসপাতাল করতে হবে। এর আগে গত ১৯ জুলাই করোনার টিকা নেয়ার বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ৫ জুলাই করোনার টিকার বয়স করা হয়েছিল ৩৫ বছর।’
টিকা নিবন্ধনের শুরুর দিকে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। পরে নিবন্ধন কম হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর বয়সসীমা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৪৪ বছর করা হয়। দ্বিতীয় দফায় কমিয়ে করা হয় ৪০ বছর। তৃতীয় দফায় ৩৫ ও চতুর্থ দফায় করা হয় ৩০ বছর।