নারী প্রধান শিক্ষককে পেটানো দপ্তরি আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৩ পিএম, ২৮ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১৮ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গফরগাঁওয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে মারপিটকারী দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাতে তাকে আটক করা হয়।
এদিকে প্রকাশ্যে এমন মারধরের শিকার হয়ে আহত হন প্রধান শিক্ষক নিলুফা খাতুন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকালে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত দপ্তরির নাম রকিব খান।
ঘটনার পর পরই উপজেলার পাগলা থানা ওসি মো. রাসেদুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশ অভিযুক্ত দপ্তরি রকিব খানকে আটক করতে অভিযান শুরু করে। পরে বৃহস্পতিবার রাতেই রকিবকে আটক করে পাগলা থানা পুলিশ।
করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাসাইমেন্ট দিচ্ছেন ও সংগ্রহ করছেন। বৃহস্পতিবার দিনভর এ কাজে ব্যস্ত ছিলেন নিলুফা খানমসহ বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দুপুরের পর শিক্ষকদের কাছে থাকা ‘ওয়ার্কশিট’ শেষ হয়ে যায়।
প্রধান শিক্ষিক নিলুফা খানম দপ্তরি রকিবকে ফোন করে ওয়ার্কশিট নিয়ে যেতে বললেও রকিব তা শোনেনি। পরে শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে গিয়ে ওয়ার্কশিট সংহগ্রহ করেন। ওই সময় রকিব বিদ্যালয়ে গেলে নিলুফা খানম রকিবকে বলেন, বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে। এতে রকিব ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ের রকিব খান খুন্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষিকার মাথায় আঘাত করেন। আশালীন ভাষায় গালাগালসহ কিলঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে দপ্তরিকে থামালে এ যাত্রায় রক্ষা পান প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সালমা আক্তার বলেন, দপ্তরি নিয়োগ দেয়া হয়েছে স্কুল ও শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য। এ অবস্থায় স্কুলের কাজ না করে প্রধান শিক্ষককে মারধর কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবশ্যই তদন্তপূর্বক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনার পর পরই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অভিযুক্তকে আটক করতে অভিযানে নামে। রাতেই তাকে আটক করা হয়।