রূপগঞ্জের সড়কে ভোগান্তির আরেক নাম ড্রেজারের পাইপ ॥ বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে এলাকাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ পিএম, ২৬ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:২৩ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কায়েতপাড়াপর্যন্ত রাস্তায় ভোগান্তির আরেক নাম হয়ে দাড়িয়েছেড্রেজারের বালির পাইপ। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় উপজেলার সর্ব উত্তরেভোলাব ইউনিয়নের শেষের দিকে বিভিন্ন আবাসনপ্রতিষ্ঠানের বালি ভরার পাইপ যেন জনগনের গলার কাটা হয়েদাড়িয়েছে। শুধু ভোলাবো নয় কাঞ্চন, গোলাকান্দাইল, ভূলতা,মুড়াপাড়া, তারাবো, কায়েতপাড়া রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহকোথাও বাকী নেই যেখানে পাইপের দ্বারা ভোগান্তিতেনেই সাধারন জনগন। সাড়ি সাড়ি করে ৭/৮ টি পাইপরাস্তা পার করায় তৈরী হয়েছে প্রতিবন্ধকতা, সেই সাথেকিছু কিছু জায়গায় মাটি দিয়ে ৩/৪ফুট উচু করারকারনে প্রায়ই ঘটছে গাড়ির দূর্ঘটনা। ছোট ছোটবেটারী চালীত অটোরিক্সা পাঁচ ছয়জন যাত্রী নিয়ে পারহতে হিমশিয় খায় । শুধু তাই নয় বৃষ্টির মৌসুম আসলেইপাইপের উপরে দেয়া মাটি সরে গিয়ে পাইপ পিচ্ছিল হয়েথাকে এতে ছোট ছোট গাড়ি প্রায়ই দূর্ঘটনারসম্মুখিন হয়। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ে বাইসাইকেল ও মোটর সাইকেল চালকেরা।
রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পাড় হলেই তারাবো ইউনিয়ন। তারাবোইউনিয়নের ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বসানোহয়েছে প্রায় ৫০ টি বালির ড্রেজারের পাইপ। আর এসবনিয়ন্ত্রন করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। একই চিত্র কাঞ্চন পৌরসভা ও রূপগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্নএলাকায়। তবে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় এই যে, রাস্তার উপরদিয়ে শুধু পাইপ বসিয়েছে তা নয় রাস্তার নিচের মাটিসরিয়েও বসানো হচ্ছে সারি সারি ড্রেজারের পাইপ।রাস্তায় অতিরিক্ত বোঝাই কোন ট্রাক চলাচল করলে যে কোনসময় রাস্তা ভেঙে যেতে পারে বলেও আসঙ্কা স্থানীয়দের । শুধুতাই নয় সাড়ি সাড়ি এসব পাইপ বসাতে অনেক কৃষকেরজমির উপরের বাসের খুটি ব্যবহার করে নেয়া হচ্ছে পাইপ।কেউ ভূমি দস্যুদের ভয়ে মুখ খুলেও কিছু বলেনা।কাঞ্চন পৌরসভার গেটের সামনে চন্ডিতলা মন্দিরের প্রধানগেটের সামনে বসানো হয়েছে তিনটি মোটা পাইপ।সকাল বিকাল পুজো করতে আসা বয়স্ক অনেকের ভোগান্তিরকারন এই ড্রেজারের বালির পাইপ। পাইপ পার হবার জন্য নেইকোন ভাল ব্যবস্থা। বয়স্ক লোকজন প্রায়ই পাইপ পার হতে পরেযায় বলে অভিযোগ করেন মন্দিরের পুরোহিত। শ্রী রঞ্জনচক্রবর্তী বলেন পুজো করতে আসা শুধু বয়স্ক লোকইনয়,মহিলারা বেশি সমস্যায় পরে মন্দিরে আসতে। কিন্তুদুঃখের বিষয় এই যে স্থানীয় যারা এই ব্যবসার সাথেজড়িতে তাদের বিরুদ্ধে কেউই মুখ খুলতে রাজী নন বলেজানান তিনি।
উপজেলা সূত্রে খোজ নিয়ে জানা যায়, এসব ড্রেজারেরপাইপ মহাসড়ক পার করতে উপজেলা কোষাগারে রাস্তারউন্নয়ন ফি জমা দিয়ে পাইপ বসানোর কথা ও প্রতি বছরতা রিনিউ করতে হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে একবারপাইপ বসিয়ে কোন ফি না দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরঅবৈধ ব্যবসা। তাছাড়া একটির অনুমোদন নিয়ে পাইপবসানো হচ্ছে তিন থেকে চারটি।
এ ব্যাপারে ড্রেজার পাইপ মালিকদের সাথে কথা বললে তারাজানায়, তারা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকেঅনুমোতি নিয়ে এসব পাইপ বসিয়েছে। তবে পাইপেরউপর মাটি দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করে দিবে বলে আস্বাসদেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ নুসরাত বলেন,আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে সুনির্দিষ্টঅভিযোগ পেলে অবশ্যই এই ড্রেজারের পাইপ অপসারনের ব্যাপারেউদ্যাগ নেওয়া হবে।