সিদ্ধিরগঞ্জে দ্বিতীয় দফায় চাঁদা আনতে গিয়ে কথিত নারী সাংবাদিক আটক পলাতক-২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩১ এএম, ২৬ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৩৯ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পাইকারি কসমেটিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রথম দফায় ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে দ্বিতীয়বার ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আনকে গিয়ে আটক হলেন নারগিস আক্তার (৩৫) নামে এক কথিত সাংবাদিক। এসময় পালিয়ে গেছেন তার দুই সহযোগি। এঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ মে) তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই ব্যবসায়ী।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারগিসকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আটক নারগিস আক্তার ডিএমপি ঢাকা শ্যামপুর থানার ধোলাইপাড় এলাকার আউয়ালের বাড়ির ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিনের স্ত্রী। পলাতক আসামিরা হলো-মো: সাগর মিয়া (৪০) ও পাবেল (৩২)। মামলার বাদী আবু সাঈদ ঝিনাইদাহ জেলার শোলকুপা থানার ভাটবাড়িয়া গ্রামের গোলাম সারোয়ারের ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার ভাড়াটিয়া।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথমে আসামিরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গত ১১ মে সকালে বাদীর বাড়িতে গিয়ে নকল কসমেটিক ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করে ১ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে পুলিশ খবর দিয়ে গ্রেপ্তার ও সমস্ত মালামাল জব্দ করবে। তখন বাদী তাদেরকে ৮৫ হাজার টাকা দিলে তারা চলে যায়। আবার তারা গত ২৪ মে দুপুরে বাদীর বাড়িতে এসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তখন টাকা দিতে অস্বীকার করলে একই রকম হুমকি দেয়। তাদের আচরণে বাদী আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনলে সাগর মিয়া ও পাবেল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু নারগিস আক্তার পালাতে পারেননি। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাতে আটক নারগিস আক্তারসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন আবু সাঈদ।
তবে নারগিস আক্তার সাংবাদিক পরিচয় দেয় কিন্তু তার কাছে কোন পত্রিকার পরিচয়পত্র নেই। তিনি জানান, স্বামীকে না জানিয়ে এই প্রথম তাদের সঙ্গে বের হয়েছেন। একটি ক্রাইম রিপোর্ট করার কথা বলে সাগর তাকে নিয়ে আসে। মামলার সত্যতা স্বীকার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, আটক নারীকে চাঁদাবাজি মামলায় গতকাল দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।