ডিপটিউবওয়েল, চাকরি দেয়া, হজ্বে পাঠানোসহ বিভিন্ন প্রলোভনের প্রতারণাক আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৩ পিএম, ২৫ মে,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৩ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
এন এস আই পরিচয়দানকারী খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মুজাহিদ আটক হল সাতক্ষীরার এন এস আই এর হাতে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুজনসাহা এলাকায় প্রতারণার সময় সাতক্ষীরার এন এস আই তাকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তি হলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের আরশাফ আলী মোড়লের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম (৩২)। তার বিরুদ্ধে মানুষের বাড়ি বাড়ি ডিপটিউব য়েল দেয়া, চাকরি দেয়া, বাড়ী করে দেয়া, হজ্বে লোক পাঠানোসহ বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে ৪০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সাতক্ষীরা এনএসআই অফিস সুত্রে জানা গেছে, মুজাহিদুল ইসলাম একজন পেশাদার প্রতারক। সে বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে লোভে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে অনেক গোপন তথ্য পাওয়া গেছে বলে এই সুত্রটি জানান। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামের নিছার আলী সরদারের ছেলে আলতাফ হোসেন (৪০) জানান, এনএসআই পরিচয় দিয়ে প্রায় এক বছর ধরে চাকরী দেয়া, বাড়ী করে দেয়া, বিদেশ পাঠানো এবং হজ্বে পাঠানোর কথা বলে আমি, আমার ভাই শাহিনুর এবং ইসলামকাটি গ্রামের দেলবার আলীর ছেলে শফিকুল এর নিকট থেকে চার কিস্তিতে ১৩ লাখ টাকা নিয়েছে। এছাড়া ডুমুরিয়া এলাকার রোস্তম মোল্লার ছেলে হালিম মোল্লা, কুলবাড়িয়া গ্রামের গফুর শেখের ছেলে মোস্তফা কামাল, একই গ্রামের এজাহার আলীর ছেলে গণি মোল্লা এই তিন জনের নিকট থেকে ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক মুজাহিদুল। এসময় ভুক্তভোগীরা প্রতারক মুজাহিদুলের ন্যয় বিচার দাবি করেন।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল জানান, তালার ইসলামকাটি এলাকা থেকে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক মুজাহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার সকালে সুজনশাহা এলাকায় প্রতারণা করে টাকা নেয়ার সময় এলাকাবাসির সহযোগীতায় সাতক্ষীরা এনএসআই তাকে আটক করে তালা থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে তাকে সাতক্ষীরা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুজাহিদুলের পিতা আশরাফ আলী স্থানীয় নুরানিয়া এনডিএস দাখিল মহিলা মাদ্রাসার একজন সামান্য নৈশ প্রহরী। কিছুদিন আগেও তিনি সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন অথচ হটাৎ করেই ছেলে মুজাহিদ যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতারণার অর্থ দিয়ে মুজাহিদ নরনিয়া গ্রামে আলীশান বাড়ি নির্মাণ করছে। সে অধিকাংশ সময় এলাকার বাইরে থাকে, মাঝেমধ্যে যখন বাড়িতে আসে তখন তার চলন বলনে আভিজাত্যের ভাব পরিলক্ষিত হয় বলে এলাকাবাসী জানায়।