জব্দ করা চাল নিলামেও গিলে খেতে চেয়ে পারলোনা বড় ভাই সিন্ডিকেট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৪ পিএম, ২৫ মে,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:০৭ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
পাহাড়তলী বাজার থেকে জব্দ করা সেই ১১০ টন চাল নিলামেও গিলে খেতে চেয়েছিল সেই পাচারকারী সিন্ডিকেট। প্রতি কেজি চাল ১৫-১৬ টাকা দর হাঁকিয়েছিল। তবে এই দর মনপুত না হওয়ায় নিলাম কার্যক্রম বাতিল করেন আদালত।
গত ২১ এপ্রিল নগরীর পাহাড়তলী বাজার থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সরকারি ১৪শ বস্তা (৭০ হাজার কেজি) চাল আটক করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় চাল ব্যবসায়ী বাহার মিয়াকে। আটককৃত এসব চাল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়ে নোয়াখালীর চরভাটা এলএসডি গুদামে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চরভাটায় না গিয়ে ওইসব চাল পাহাড়তলী বাজারে বিক্রি হয়ে যায়। পরবর্তীতে বাহার মিয়ার গুদাম তল্লাশি করে আরও চাল পাওয়া যায়। প্রায় ২২শ বস্তা চাল পাওয়া যায়।
গতকাল সোমবার আদালত ১ লাখ ১০ হাজার ৬৫০ কেজি চাল নিলাম দেয়। নিলামে অংশ নেওয়া ক্রেতারা সিন্ডিকেট করে সরকারকে লুটেপুটে খাওয়ার প্রক্রিয়া পাকাপোক্তা করেছিল। আদালত প্রতিকেজি চাল ৪০ টাকা করে দর দিয়েছিল। নিলামে অংশ নেওয়া ক্রেতারা প্রতিকেজি চালের দর হাঁকিয়েছিল ১৫-১৬ টাকা। পরবর্তীতে ১ টাকা বাড়িয়ে ১৭ টাকা পর্যন্ত করেছিল। কিন্তু সেই দর আদালতের মনপুত না হওয়ায় নিলাম বাতিল করে আদালত। খাদ্য বিভাগ ও চাল ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, সরকার ভারত থেকে কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা দরে এসব চাল কিনেছিল। উন্নতমানের এসব চালের বাজার দর প্রায় ৪০-৪৫ টাকা। কিন্তু নিলামে অংশগ্রহণকারীরা সর্বোচ্চ ১৭ টাকা দর হাঁকায়। এতে সরকার বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় আঁচ করতে পেরে আদালত নিলাম কার্যক্রম বাতিল করেন।
নিলামে অংশ নেওয়া ঈদগাঁ বাজারের মেসার্স আয়াত এন্ড তামান্ন এন্টারপ্রাইজের মালিক মোমিনুল আলম শাহীন বলেন, ‘আদালত ভবনে বাহার মিয়ার ভাইয়েরা (বড় ভাই শাহাব উদ্দিনসহ আরও দুই ভাই) সি-িকেট করে অস্বাভাবিক কম দামে সেই চালগুলো কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকারের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় আদালত নিলাম কার্যক্রম বাতিল করেন। পরবর্তীতে নিলামে তোলার আদেশ দেন।’
বাহার মিয়ার বড় ভাই শাহাব উদ্দিন বলেন, যে কোনো ব্যবসায়ী নিলামে অংশ নিতে পারেন। আমরা অংশ নিয়েছিলাম। আমাদের তো বড় ক্ষতি হয়েছে।
নিলামে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান, চাল পাচারে গ্রেপ্তারকৃত বাহার মিয়ার তিন ভাই সিন্ডিকেট করে নিলাম কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। নামে-বেনামে সবচেয়ে বেশি টেন্ডার ফরম ক্রয় করেছিলেন তারা। এই চালগুলো জব্দ করা হয়েছিল শাহাব উদ্দিনের ছোট বাহার মিয়ার গুদাম থেকে। বাহারকেও গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। তবে নিজের নামে ক্রয় না করে চাক্তাই চালপট্টির মক্কা ট্রেডার্সের নামে ক্রয় করতে চেয়েছিলেন বাহারের ভাই শাহাব উদ্দিন।