ঘূর্ণিঝড় "ইয়াস" মোকাবেলায় উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার প্রস্তুতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৫ এএম, ২৫ মে,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:২৬ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সাগরে অবস্থানরত ঘুর্ণিঝড় "ইয়াস" মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপকূলীয় এলাকার জেলা সমূহ। উত্তাল সাগরে অবস্থান নেওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন জেলার তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুতির খবরঃ
বরগুনা :
জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আশ্রাফুল ইসলাম জানান,ইয়াস মোকাবেলায় বরগুনা জেলা প্রশাসন প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। আমাদের প্রস্তুতিও সম্পন্ন। আমরা মিটিং করে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসারদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। বিভিন্ন সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দায়িত্বশীল বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। শুকনো খাবার সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে বলা হচ্ছে জেলা প্রশাসন থেকে। আশাকরি কোনোরকম ক্ষতি ছাড়াই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলা করতে পারবো।
পিরোজপুর :
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ইয়াস মোকাবেলায় ২৩৫ টি নতুন আশ্রয়কেন্দ্র সহ জেলায় ৪১১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় ৬৮টি মেডিকেল টিম প্রতি উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে দূর্যোগকালীণ দায়িত্ব পালনের জন্য তৈরি। আমরা জনগণের নিরাপত্তা ও সাবধানতার জন্য মাইকিং ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
ঝালকাঠি :
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। জেলায় ৫শত আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নের জন্য ১টি মেডিকেল টিম এবং রিজার্ভ টিম তৈরি আছে। আমার সকল কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া আছে। সবাই যার যার দায়িত্ব আন্তরিকতার সাথে পালন করবেন। সতর্কতামূলক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। সতর্ক সংকেত বৃদ্ধি পেলে প্রচারনা আরো বাড়ানো হবে। জেলায় দূর্যোগ সময় মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, শুকনা খাবার,পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট, ত্রাণ সহ যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সাংবাদিকদের সাথে প্রচারনা বৃদ্ধির জন্য ব্রিফ করছি।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গতবছর মে মাসেই বেশ্বিক মহামারি করোনায় ঘুর্ণিঝড় "আম্ফান" সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। এবারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আমরা ঘূর্ণিঝড় "ইয়াস" মোকাবেলা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ভোলা :
জেলায় ৩ লাখ লোককে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝুকিপূর্ণ দ্বীপের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া এবং ইয়াস মোকাবেলায় জেলায় ৭০৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এজন্য ৭৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে। ৮টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে জেলার দূর্যোগকালীন সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।