ফরিদপুরে বিকাশ প্রতারক চক্রের ১১ সদস্য গ্রেপ্তার ৩২টি মুঠোফোন সেট ও ৫৮টি সিম উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৯ এএম, ২৪ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফরিদপুরে দুটি অভিযানে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য ১১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩২টি মুঠোফোন সেট ও ৫৮টি সিম উদ্ধার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলাদায়ের করা হয়েছে।
ফরিদপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অতিরিক্ত পুলিম সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) জামাল পাশা।
আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গোপন সংবাদেল ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পল্লিবেড়া গ্রামে মো. ফিরোজ বেপারির চৌচালা টিনের ঘর যা বিকাশ অফিস নামে পরিচিত অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলেন, পল্লীবেড়া গ্রামের ফিরোজ বেপারী (৩৩), রায়হান বোপরী (১৯), আকাশ বেপারী (২২), কাউলীবেড়া গ্রামের সাকিব ফকির (২০)। এসময় এদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর ১৬টি মুঠোফোন সেট ও ৪৫টি সিম উদ্ধার করা হয়।
রাত পৌনে ২টার দিকে পুলিশের অপর একটি দল কালা মৃধা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামের ফারুক শেখের একতলা বাড়ির ছাদে উপর ছোট একটি কক্ষ থেকে মিয়াপাড়া গ্রামের ফারুক শেখ (২৭), ওবায়দুর সিকদার (৩৫), জাঙ্গাল পাশা গ্রামের মো. ইব্রাহীম মীর (২২), রাসেল তালুকদার (২১) হানিফ মীর (৪৫), গোয়ালদি গ্রামের ছিদ্দিক মোল্লা (২৮) ও থানমাত্তা গ্রামের আবু হানিফ খন্দকার (২২)কে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় বিকাশ প্রতারণায় ব্যবহৃত ১৬টি মুঠোফোন সেট ও বিভিন্ন কোম্পানীর ১৩টি সিম উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, এ চক্রটি নিজেদের বিকাশ কোম্পানীর লোক পরিচয় দিয়ে বিকাশ একাউন্টধারীদের ফোন দিয়ে কৌশলে তাদের পিন নম্বর জেনে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলাদায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, সুমন রঞ্জন সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার নগরকান্দা সার্কেল সুমিনুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার ও একটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই ১১ ব্যাক্তিকে রবিবার প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত মঙ্গলবার রিমান্ডের শানানির দিন ধার্য করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।