প্রবাসীকে পিটিয়ে মারল স্ত্রী-শ্বশুর-শাশুড়ি-শ্যালক-শ্যালিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৩ এএম, ২৩ মে,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১১ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কক্সবাজার সদর উপজেলায় প্রবাসী মঞ্জুর আলমকে (৪৫) নির্যাতন ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দ্বিতীয় স্ত্রী, তার বাবা, মা, ভাই এবং বোনেরা। উপজেলার ঈদগাহ মাইজ পাড়ায় শুক্রবার তাদের নির্যাতনে আহত হন মঞ্জুর আলম।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। মঞ্জুর আলম ঈদগাহ কালিরছড়া এলাকার মৃত আব্দুল গণির পুত্র। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঈদগাহ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম জানান, এ ঘটনায় নিহত মঞ্জুর আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তার, শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালকসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার ঈদগাহর মাইজ পাড়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তারের বাবা, মা, ভাই বোনসহ বেশ কয়েকজন মিলে মঞ্জুর আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়।
ঈদগাহ থানার ওসি আবদুল হালিম জানান, ওই নির্মম নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে পুলিশের। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে শুক্রবার রাতেই নির্যাতনকারী স্ত্রী রুনা আক্তারসহ ৮ জনকে আটক করা হয়।
ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় নিহত মঞ্জুর আলমের বড় ভাই শুক্রবার রাতে নির্যাতনের ঘটনায় একটি এজাহার দায়ের করেছিল। গতকাল শনিবার দুপুরে মঞ্জুর আলম মারা যাওয়ায় সেটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত মঞ্জুর আলম দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটিয়েছেন। প্রবাস জীবনে যা আয় করেছেন তা বাংলাদেশে অবস্থানরত তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তারের নামে পাঠাতেন। তার স্ত্রী নিজের নামে কিনেছেন জমি। আর সেখানেই বানিয়েছেন বহুতল ভবনও। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে ছুটিতে আসার পর আর বিদেশ যাওয়া হয়নি মঞ্জুর আলমের। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকেন স্ত্রী রুনা আক্তারের। এক পর্যায়ে শুক্রবার স্ত্রী রুনা আক্তার, তার বাবা-মা, ভাই-বোন মিলে দিন দুপুরে হত্যার উদ্দেশ্যে মঞ্জুর আলমকে নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি দেখা গেলে গতকাল শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দুপুরে মারা যায় মঞ্জুর আলম।