রোজিনাকে হেনস্থাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি কুষ্টিয়ার সাংবাদিকদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ১৯ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৯ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
প্রথম আলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্থাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন কুষ্টিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরা। একই সাথে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে) কুষ্টিয়া শহরের পাচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের ব্যানারে বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শুরু হয়ে ঘন্টাব্যাপী চলে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শেষ হয়।
সাংবাদিকের এই কর্মসূচীতে একাত্নতা ঘোষণা দিয়ে সেখানে যোগ দেন স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মিরা। প্রথম আলো কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সদস্যরাও মানববন্ধনে অংশ নেন।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলুর সঞ্চালনায় সেখানে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান আলী, শরীফ বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম দোলন, শেখ হাসান বেলাল, নাহিদ হাসান তিতাস, শামীমুল হাসান অপু, হাসিবুর রহমান রিজু, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কারশেদ আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধঅ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান মজু, কাঙাল হরিনাথ প্রেসক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে এম আর শাহীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে আটকে রেখে হেনন্তা করেছে। এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। ঘটনার মূলহোতা অতিরিক্ত সচিবের কিভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তা খতিয়ে দেখারও দাবি জানান বক্তারা।
তারা বলেন, আজ দেশ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে তখন এক শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা সাংবাদিক নির্যাতনের মত গর্হিত কাজে জড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চাইছেন। এদের চিহ্নিত করার দাবি জানান বক্তারা।
বক্তারা দাবি তোলেন, পেশাদার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে যারা কক্ষে দীর্ঘক্ষণ আটকে নির্যাতন করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে এবং একই সাথে একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। রোজিনাকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকেরা রাজপথ ছাড়বে না।