করোনা ঝুঁকি নিয়েই ঢাকা ফিরছে মানুষ, সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৪ এএম, ১৭ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:০২ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঈদ শেষে করোনা ঝুঁকি নিয়েই ঢাকা ফিরছে মানুষ। সরকার সাধারণ ছুটি আর বাড়াবে না বলে ঘোষণা দেয়ায় লোকজন এখন কর্মস্থলমুখী হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফিরছে হাজার হাজার যাত্রী। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট ও দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। ঘাটে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়ায় আসছেন যাত্রীরা।
এদিকে করোনাভাইরাস অতি সংক্রামক হওয়ায় এই রোগ প্রতিরোধের বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রয়োগ ছাড়া লকডাউন শিথিল করা হলে রোগ সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘাটের যাত্রীরা বলছেন, চাকরি বাঁচাতে করোনা ঝুঁকি নিয়ে তারা ঢাকায় যাচ্ছেন। সড়কে গণপরিবহন না থাকায় নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, ঈদে যারা বাড়িতে এসেছিলেন তারা আবার ঢাকায় ফিরছেন। যে কারণে দৌলতদিয়ায় যাত্রী ও ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে। এ নৌ রুটে ফেরি বাড়াতে বিআইডব্লিউটিসিকে অনুরোধ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড়। দূরপাল্লার যানবাহন না থাকায় ঘাটে পৌঁছতে ও ফেরি পার হয়ে কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে ভেঙে ভেঙে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ফিরছেন তারা।
সরেজমিনে পাটুরিয়া ঘাটে দেখা গেছে, ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রীর ভিড়। ফেরিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিল না। ছিল না প্রশাসনের তৎপরতাও।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট হয়ে প্রায় লাখ মানুষ বাড়ি গেছে। ঈদ শেষে তারাই আবার ফিরতে শুরু করেছেন। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যানজট ও যাত্রী ভোগান্তি কমায় ছোট-বড় ১৬টি ফেরি চালু রয়েছে বলে জানান তিনি।