পীরগঞ্জে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ঢেউটিন প্রাপ্তি নিয়ে চরম হতাশা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ৩ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১৬ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলির মধ্যে টিনের জন্য হতাশাকর পরিস্থিতি বিরাজ করলেও গত ১২ দিনেও তাদের ভাগ্যে মেলেনি সহায়তা। ফলে এ পরিবার গুলো চরম উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন। তারা আদৌ টিন সহায়তা পাবেন কিনা? এ নিয়ে সন্দিহান।
একাধিক সুত্রে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পীরগঞ্জের ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আঘাত হানে। এতে উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী, কুমেদপুর, বড়দরগাহ, শানেরহাট ও মিঠিপুর ইউনিয়নের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি প্রায় ২ সহস্রাধীক বাড়ী ঘরের টিনের চালা শিলা বৃষ্টিতে ফুটো হওয়ায় ঘর গুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর বেশীর ভাগ অর্থাভাবে ঢেউ টিন ক্রয় পূর্বক ঘর গুলোর উপরে ঢেউ টিনের চালা দিতে পারেননি। প্রহর গুনছেন সরকারী সহায়তার প্রত্যাশায়। আর যে কারনে আকাশে মেঘ দেখলেই তাদেরকে দিবারাত্রী দুশ্চিন্তায় ও নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।
ছোট মির্জাপুরের জাহিদ মিয়া, সেরাজুল, আসলাম, মন্ডলাবাড়ীর সালাম, গুর্জিপাড়ার শংকর সহ বেশ কিছু সংখ্যক ব্যাক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা অভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাদের ফসল গেল, ঘরের টিন গেল। কোনই সহযোগীতা পাচ্ছি না। ঘরও মেরামত করতে পারছি না। আগামীতে বা সংসারই চলবে কি ভাবে । সব সময় এটাই চিন্তা। তাই তারা এ ব্যাপারে সরকারের জরুরী সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
বড়দরগাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক মন্ডল এর সঙ্গে সোমবার কথা হলে তিনি বলেন, এ ইউনিয়ন থেকে প্রায় ২ সহস্রাধিক ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে। ঢেউটিন বরাদ্ধ না আসায় এখনও টিন বিতরন সম্ভব হয়নি।
শানেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রায় ঘর ক্ষতিগ্রস্থ এমন ১৬ শ’জনের তালিকা করা হয়েছে। আরও আবেদন আসছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এখনও তালিকা পাইনি । তবুও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠিয়েছি। টিন বরাদ্ধ আসলে ক্ষতিগ্রস্থদের দেয়া হবে। এ দিকে কবে চাহিদা পাঠানো হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে পারেননি।
রংপুর জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আকতারুজ্জামান বলেন, আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি এ মাসের মধ্যেই ঢেউটিন পেয়ে যাব।