টঙ্গীবাড়ীতে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে সরকারী জমি ভরাটের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫০ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী গ্রামের মারফত আলী বয়াতী বাড়ি সংলগ্ন স্থানে সরকারি জমি কেটে ওই স্থানের একটি কালভার্টের মুখ ভরাট চলছে। উপজেলা সুবচনী বাজার রোডের মধ্যে ওই কালভার্টের নিচ দিয়ে আউটশাহী গ্রামের জমির পানি নিস্কাশন হয়ে থাকে।
কালভার্টের মুখ বন্ধ হওয়ায় ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিবে বলে জানান ওই এলাকার কৃষকরা। এতে ওই এলাকার আলুচাষ ব্যাহত হবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভেকু দিয়ে চাষি জমির মাটি কেটে পাড় বাধার কাজ চলছে পুরোদমে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এই জমি একটি দাগে মোট ৭২ শতাংশ। জমিটি সরকার হতে লিজ নিয়ে আউটশাহী গ্রামের মোঃ আউয়াল বেপারী, আমির খান, ও মাছুম দেওয়ান, ভোগ দখল করে আসছেন।
জমিটি লিজ নিয়ে ৩ ভাগের এক ভাগ ভোগ দখলে থাকা মোঃ আউয়াল বেপারী জানান, জমিটি সরকারী সম্পত্তি আমি ৩ ভাগের এক ভাগ ভোগ দখলে আছি। বাকি ২ ভাগ আমির খান ও মাসুম দেওয়ান ভোগ দখলে আছে। তারা জমি কেটে বাড়ি বানাতে আমার কাছে প্রস্তাব দেয়। আমি বলি এটা সরকারী সম্পত্তি ভোগ দখল করার জন্য সরকার আমাদের দিছে আইনতভাবে আমরা মাটি কাটতে পারিনা।
পরে আমি মাটি কাটতে রাজি না হওয়ায় তারা দুজন মিলে সরকারী জমির মাটি কাটছে। সে আরও জানায় আমি এটাও বলছি এই সম্পত্তি সরকারি (ক) ভূক্ত যাহা পর্চায় উল্লেখ আছে হাল সাং ভারত। যাই করেন না কেন বুঝে বিবেচনা করে করার পরামর্শ দিয়ে ছিলাম। কিন্তু তারা আমার পরামর্শ উপেক্ষা করে নিজেদের পারিবারিক মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে গত বুধবার থেকে ভেকু দিয়ে চাষি জমি কেটে ভরাট করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আ. লতিফ নামের এক ব্যাক্তি ওই সম্পত্তি নিজের এবং সেই ভরাট করছে দাবী করে জানান সম্পত্তিটি খ তফসিল ভুক্ত ছিলো। আমরা আমাদের নামে বর্তমানে এটি নামজারী করেছি। কিভাবে নামজারী করলেন জানতে চাইলে সে কোন সদত্তুর দিতে পারেনি।
তবে এ বেপারে ভেকু মেশিন চালক মোঃ ফেরদৌস এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই মেশিনের চালক মাত্র এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে মালিকের সাথে কথা বলেন।
ভেকু মেশিনের মালিক মোবাইল ফোনে জানান এই চাষের জমি সরকারি না মালিকানা সেটা আমার দেখার বিষয় না কেন না আমি এই কাজের চুক্তিতে নিয়ে কাজ করছি, কাজ শেষ করে আমি আমার পাওনা টাকা বুঝে নিয়ে চলে যাব।
তবে এ বিষয়ে আউটশাহী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম মিঞার সাথে যোগাযোগে চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার কারণে কথা বলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।