মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরটি গোপনে অজপাড়াগায়ে নির্মাণের প্রতিবাদে আমতলীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৫ এএম, ২৬ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বরগুনার আমতলীতে মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরটি গোপনে অজপাড়াগায়ে নির্মাণ করার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আমতলী উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা কমান্ডার ও কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও আমতলী উপিজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. একেএম শামস উদ্দিন সানু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বহনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের মাধ্যমে ‘মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এলজিইডি’র মাধ্যমে এ যাদুঘরটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় একটি ‘মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যাদুঘরটি উপজেলা শহরে নির্মাণ না করে পিরোজপুর জেলার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আঃ ছত্তার ইঞ্জিনিয়ার গোপনে অজপাড়াগায়ে গুলিশাখালী গ্রামে নিজ বাড়ীতে নির্মাণ করার প্রস্তুতি নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। তারপরেও মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর’টি ওই ইউনিয়নের অজপাড়াগায়ে নির্মাণ করার পায়তারা চলছে।
উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের একটাই দাবি মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর’টি আমতলী উপজেলা সদরে স্থাপন করা। তাছাড়া ইঞ্জিনিয়ার আঃ ছত্তার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান নহে তার বাড়ীর এ যাদুঘর নির্মাণ করা অযৌক্তিক। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় পরবর্তী সময়ে দাবী আদায়ের জন্য আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার অ্যাড. এমএ কাদের মিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শাহজাহান কবির, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাজমুল আহসান নান্নু, আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম মৃধা, ডেপুটি কমান্ডার মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন তপু, আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আনোয়ার হেসেন ফকির, বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেক শাহানুর, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম মাস্টার, বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেনসহ অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আমতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, যাদুঘর লোকালয়ে থাকা অনুচিৎ। এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।