কুকুরের অভয়রণ্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৫৩ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
মহামারী করোনা প্রাদুর্ভাবের সংকটকালীন সময়ে মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালের ভিতরে কুকুরের অভয়রণ্যে পরিনত হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নিজ তলায় জরুরী বিভাগ, তত্বাবধায়ক ও আবাসিক চিকিৎসকের অফিস, প্রসুতি বিভাগ সহ স্পর্শকাতর সেবা কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের সামনে রোগী ওয়ার্ডের যাতায়াতের রাস্তায় সাড়িবদ্ধভাবে কুকুরগুলো গুমাচ্ছে। চলমান এই লকডাউনে দেশ যখন আতংকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঠিক সেই মুহুর্তে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের ভিতরে কুকুরের অভয়রণ্য। হাসপাতাল কর্র্র্তৃপক্ষের এমন উদাসিন ভুমিকায় হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীদের রযেছে স্বাস্থ্যঝুকি। এসব রোগীদের ভিতরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হয়েছে।
সরজমিনে গিযে দেখা যায়, এক সময়ের আধুনিক সদর হাসপাতাল বর্তমানে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পুরাতন ভবনের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের রুমের সামনে, তত্বাবধায়কের রুমের সামনে সাড়িবদ্ধভাবে একাধিক কুকুর নিবিগ্নে ঘুমাচ্ছে। অথচ হাসপাতাল কর্র্র্র্তৃপক্ষের তেমন কোন মাথাব্যাথা নেই। এ যেন হাসপাতাল নয়, কুকুরের নিরাপদ অভয়রণ্য।
চিকিৎসা নিতে রোগীর স্বজন রাজা বলেন, এই ককরোনাকালীন সময় সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কমৃসুচী নিচ্ছে সেই মুহুর্তে হাসপাতালের ভিতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতংক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেছোতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত তা সরজমিন দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী দেখতে আসা স্বজন ফালাক বলেন, দেশ যখন করোনায় হাবুডুবু খাচ্ছে প্রতিনিয়তই শত শত রোগী হাসপাতাল বেডে মারা যাচ্ছে । আমরা যখন নিজ গৃহেই করোনা থেকে নিরাপদ নই, ঠিক সেই মুহুর্তে চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র হাসপাতালে যদি এমনভাবে কুকুর শুয়ে থাকে তা হলে সেই হাসপাতালে রোগী কতটুকু নিরাপদ তা হাসপাতাল কর্র্র্তৃপক্ষই জানেন। হাসপাতাল কর্র্তপক্ষের এমন উদাসিনতায় আমাদের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন করছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের অরএমও ইমরান এবং তত্বাবধায়ক আরশাদউল্লাহ্র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা: আনোয়ারুল অমিন আখন্দ বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।