জয়পুরহাটে কৃষকের মাঝে লাইফ পার্চিংও ডেথ পার্চিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫১ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
জয়পুরহাট জেলার কৃষকের মাঝে লাইফ পার্চিংও ডেথ পার্চিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানকার কৃষকরা কীটনাশকের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক এ পদ্ধতি প্রয়ােগ করে সুফল পাচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমছে অন্যদিকে ক্ষেতে রােগ বালাই কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছে ।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে জেলা সদরসহ জেলার আক্কেলপুর ক্ষেতলাল পাঁচবিবি কালাই উপজেলার ৬৭ হাজার ৫২৮হেক্টর জমিতে বােরাে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । যার ৪৫% জমিতেই পারচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে জেলার মাঠ গুলোতে এখন সবুজের সমারোহ।
কৃষকরা এবার কীটনাশক এর পরিবর্তে ধানক্ষেতে লাইফ পার্চিংও ডেথ পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে। এ পদ্ধতির জন্য কৃষকরা বিঘা প্রতি জমিতে ৮-১০টি ধনচের গাছ লাগিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করে দেন এবং ডেথ পার্চিংয়ের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে ৮-১০টি মরা ডাল পুঁতে দিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করে দেন। ফলে ঝামেলা মুক্ত এই পাচিং পদ্ধতি প্রয়ােগ করে স্থানীয় কৃষকরা এর সুফল পেতে শুরু করেছে।
ধনচে গাছ দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় এর ডালে বসে পাখি সহজেই ধানের মাজরা, ফুতিসহ ক্ষতিকর পােকাগুলাে খায়। ফলে পােকার বংশ বিস্তার রােধ হয়। অধিকন্তু, ধনচে গাছ জমিতে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে জমির উর্বরতা বাড়ায়। ডেথ পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করেও ক্ষেতে রােগ - বালাই মুক্ত রাখা যায়।
ডেথ পার্চিং এবং লাইফ পারচিং দুটোই জৈবিক বালই দমন পদ্ধতি হওয়ায়, জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়না। অধিকন্তু এ পদ্ধতিগুলাে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক। জেলায় ধানের জমিতে থাের আসতে শুরু করেছে। অধিকাংশ জমিতে শীষও দেখা দিয়েছে। সেই সাথে বাম্পার ফলনের স্বপ্নে দুলছে কৃষকের মনে।
বর্তমানে ধান ক্ষেতে রােগবালাই কম আবাদও হয়েছে ভালাে। এ কারণেই কৃষকরা বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে। ক্ষেতের পােকামাকড় দমনে পারচিং নামক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সুফল প্রাপ্তি ইতােমধ্যে কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। আগামীতে ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পােকা- মাকড় দমনে জৈবিক এ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে এমন আশা কৃষি বিভাগের।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শ ম মিফতাহুল বারি বলেন, কম খরচে বােরাে ধানের বাম্পার ফলন নিশ্চিৎ করতে কীটনাশকের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডেথ পার্চিং ও লাইফ পার্চিং ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করণে চাষী পর্যায়ে আমরা নিয়মিত চাষীসভা, উঠোন বৈঠক, ব্যাক্তিগত যােগাযােগ অব্যাহত রেখেছি। কীটনাশক ব্যবহার না করেও যে ধানের বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব, তা কৃষকদের হাতে - কলমে শিক্ষা দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ।