গুরুদাসপুরে ১ হাজার ধানকাটা শ্রমিক পেলেন খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী

নাটোরের গুরুদাসপুরে ১ হাজার ধান কাটা শ্রমিকের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের চলনবিল বিলশা এলাকার ধানের জমিতে গিয়ে প্রায় ১ হাজার শ্রমিকের মাঝে ওই সামগ্রী তুলে দেন নাটোর জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ পিএএ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রাসেলসহ স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন জানান, গুরুদাসপুর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ধান কাটা শ্রমিকদের সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে অন্য জেলায় ধান কাটতে যাওয়া শ্রমিকদেরকে প্রত্যয়ণ পত্র ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে পাঠানো হচ্ছে। শ্রমিকদের মাঝে যে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে তা চলমান থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি শ্রমিককে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও কৃষি ভিত্তিক সকল তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ পিএএ জানান, নাটোর জেলাব্যাপী যে খাদ্য শস্য উৎপাদন হয় তা আমাদের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি উৎপাদন হয়। আমাদের খাদ্য শস্যের চাহিদা হচ্ছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন, আমাদের প্রায় ৫ লক্ষ্য খাদ্য শস্য উৎপাদন হয়। ইতিমধ্যে আমাদের নাটোর জেলার নলডাঙ্গার হালতিরবিল, সিংড়াসহ গুরুদাসপুর উপজেলায় ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েগেছে। ধান কাটা শ্রমিকরা যেন নিরাপদে নির্বিঘ্নে ধান কাটতে পারে এবং এই ধান যেন কৃষক যথাসময়ে ঘরে তুলতে পারে সেই জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কৃষি শ্রমিকদের পাশে সব সময় আছে এবং কৃষি শ্রমিকরা যেন অন্য জায়গা থেকে সুন্দর ভাবে আসতে পারে এজন্য আমাদের প্রতিবেশি যে জেলাগুলো আছে রাজশাহী পাবনা সিরাজগঞ্জ এবং কুষ্ঠিয়া জেলার সাথে আমরা কথা বলেছি। যেন রাস্তায় তাদের কোন সমস্যা না হয় সে জন্য হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সাথে কথা বলেছি। কৃষি শ্রমিকদের সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। যেন সকল কৃষক নিরাপদে নির্বিঘ্নে তাদের ধান জমি থেকে ঘরে তুলতে পারে।