রৌমারীতে লকডাউনে চোরের উৎপাত-থানায় অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ২০ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২২ পিএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
হঠাৎ করে করোনায় আক্রান্তের হার ব্যাপক আকার ধারণ করায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এদিকে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হঠাৎ করে চোরের উৎপাত। রাতের বেলায় ব্যাপক আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে এলাবাসিকে।
গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৩০টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় অনেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
গতকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মৃত হাসিম উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান সিরাজীর ছোট বড় ৩টি গরু চুরি হয়ে যায়। এদিকে রৌমারী মুক্তাঞ্চল স্কুল থেকে সেচ পাম্প ও উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের পাখিউড়া গ্রামের মৃত জহর আলী মুন্সির ছেলে আজমত আলীর ১টি সেচ পাম্প চুরি হয়ে গেছে।
এছাড়াও ওই গ্রামের আরও কয়েক জনের বাড়ি থেকে গরু, ছাগল ও দামি মোবাইল সেট চুরির ঘটনা ঘটে। এসব চুরির ঘটনায় পাখিউড়া গ্রামের রোকুনুজ্জামান ও কোমড়ভাঙ্গি গ্রামের শাহজাহান সিরাজী বাদি হয়ে রৌমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যাদুরচর ইউনিয়নের কোমড়ভাঙ্গি গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, একদিকে করোনা অন্যদিকে চোরের উৎপাত। যে ভাবে চোরের উৎপাত বাড়ছে এতে করে আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। এখনই এই চোরের উৎপাত না দমালে অনেকে নি:স্ব হয়ে যাবে।
ওই গ্রামের শাহাজাহান সিরাজী বলেন, আমার গোয়াল ঘর থেকে যেভাবে গরু চুরি হয়েছে তাতে বোঝা যায় চোর আমাদের এলাকায় বসবাস করে। এনিয়ে কথা হয় যাদুরচর ইউনিয়নের চেয়াম্যান শরবেস আলীর সাথে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে আমার এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমি ক্ষতিগ্রস্থ ওই সব পরিবারদের থানার আশ্রয় নেওযার পরামর্শ দিয়েছি। সেই সাথে আমিও খোঁজ নিচ্ছি কারা এগুলো করছে।
কথা হয় চর শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান দুলালের সাথে তিনি জানান, আমি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি এগুলো করছে এলাকার ইয়াবা নেশাখোররা। আমি ইতমধ্যে প্রতিটি গ্রামের সমাজপতিদের চিঠি দিয়েছি। এখন লক ডাউন উঠে গেলেই মিটিং করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুনতাছির বিল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যে সব এলাকায় এঘটনা ঘটেছে সেখানে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং খোঁজ নেওয়া হচ্ছে কারা এর সাথে সম্পৃক্ত। দ্রুত এদের আইনের আওতায় আনা হবে।