নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসবে বিএনপির শুভেচ্ছা অভিবাদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৯ এএম, ১৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২৩ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
পার্বত্য অঞ্চলবাসী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু উপলক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব উপলক্ষে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণীতে বলা হয়, পাহাড়ি বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী তথা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী জনগণের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। যা আমাদের ঐতিহ্যকে গৌরবময়, প্রাচুর্যময় ও সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা এক উজ্জ্বলতর ভিন্নমাত্রা লাভ করেছে। মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি ও মিলনের অমিয় বাণী মিশে আছে আমাদের লোকজ ঐতিহ্যের মধ্যে। এ দেশের সাধকেরা সেই বাণীই প্রচার করেছেন। এ দেশের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী তথা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়সহ সকল নাগরিকের সমান অগ্রগতি, বিকাশ, নিরাপত্তা ও সংবিধান বর্ণিত মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায় ও জনগণের নিজেদের পার্বণ ও উৎসব জাতীয় উৎসবেরই অংশ। এই উৎসবের দিনগুলো আনন্দে ভরে উঠুক আর সবার জন্য অনাবিল শান্তি ও সুখের হোক- এই কামনা রইল।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পার্বত্য অঞ্চলবাসী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু উপলক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতি আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পাহাড়ি বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী জনগণের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের অপরিহার্য উপাদান। তাদের সৌন্দর্যমন্ডিত সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য জাতীয় ঐতিহ্যকে প্রাচুর্যময় করেছে। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছে। মানুষে-মানুষে মিলনের বাণীই আমাদের লোকজ ঐতিহ্যের উজ্জ্বল অনুষঙ্গ। লোকজ সংস্কৃতির চর্চাই হচ্ছে সভ্যতার ধারক-বাহক। পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও মিলনের গানই গীত হয় বাংলার রাঙামাটির পথে পথে। আমি এ দেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর তথা সকল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমান অগ্রগতি ও বিকাশ কামনা করি। এই উৎসবের দিনগুলো আনন্দে ভরে উঠুক আর সবার জন্য অনাবিল শান্তি ও সুখের হোক- এই কামনা রইল।