ক্যানসারসহ যেসব রোগের উপশম করে কাঁচামরিচ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৩ এএম, ৮ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৫৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কাঁচামরিচ আমরা প্রতিদিনই খেয়ে থাকি। চিকিৎসকদের মতে, কেবল স্বাদ বাড়াতেই নয়; কাঁচামরিচের রয়েছে বেশকিছু স্বাস্থ্যকর দিকও। তবে অতিরিক্ত ঝাল খাদ্যনালির ক্ষতি করে। পরিমাণমতো কাঁচামরিচের অনেক ভালো দিক রয়েছে। কাঁচামরিচ ভিটামিন ‘সি’র অত্যন্ত ভালো একটি উৎস। আরও রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন এ, লোহা, কপার, পটাশিয়াম, অল্প পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এ ছাড়া কাঁচামরিচে রয়েছে পানি ও ক্যারোটিন-বি, ক্যারোটিন-এ, লিউটেইন-জিজান্থিনের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। চিকিৎসকরা জানান, পাকস্থলীর ক্যানসারসহ অনেক অসুখের ওষুধ হিসেবে কাঁচামরিচের ব্যবহার রয়েছে।
আসুন জেনে নেই কাঁচামরিচের সব ঔষধি গুণ :
পাকস্থলীর ক্যানসার : কাঁচামরিচ পাকস্থলীর ক্যানসার ও পাকস্থলীর যে কোনো রোগ নিরাময় করে। এছাড়া লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় রাখতে মরিচ খেলে লালা উৎপন্ন হয়, যা খাবার ভালোভাবে চিবোতে ও হজমে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস : মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া পাশাপাশি কাটাছেঁড়ার ক্ষেত্রে রক্তপাতও বন্ধ করে।
হজম : ডায়েটারি ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে কাঁচামরিচ হজমের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া ঠান্ডার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে কাঁচামরিচ। হঠাৎ ঠান্ডা সমস্যা ও সাইনাসের সমস্যা থেকে বাঁচায় কাঁচামরিচের থাকা ক্যারাসাসিন।
ইমিউনিটি : কাঁচামরিচের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা শরীরে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ফুসফুস : প্রতিদিন কাঁচামরিচ খেয়ে ঠান্ডা, কাশি, এমনকি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া কাঁচামরিচ টিস্যু পুনর্গঠন করে, নতুন রক্তকোষ তৈরি করে, হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী করে।
তারুণ্য ধরে রাখে : যারা নিয়মিত কাঁচামরিচ খান তাদের ত্বক থাকে বলিরেখামুক্ত। এটি বয়স ধরে রাখতে জাদুকরী একটি উপাদান। এছাড়া মন ভালো রাখে ও মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন উদ্দীপক। ফলে মন ভালো রাখতে কাঁচামরিচ দারুণ ভালো।
কোষ্ঠকাঠিন্য : কাঁচামরিচ শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণ করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয়। ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস বলে এটি বৌল সিস্টেমের কাজ সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে।
ওজন হ্রাস : কাঁচামরিচ বাড়তি মেদ ঝরায়। বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি করে ওজন কমানোয় সাহায্য করে।
নিজেদের ইভেন্টে সেরা এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী অন্তরা-প্রিয়া