ফরিদপুরের সালথায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ছয় সদস্যের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ৭ এপ্রিল,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩২ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফরিদপুরের সালথায় গত সোমবারের ভয়াবহ তান্ডবের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন ও কার্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর এবং এসিল্যান্ড অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর একটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আলীকে এবং আরেকটির প্রধান হচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসলাম আলী মোল্যা।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সালথা থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিন থেকে চার হাজার জনকে আসামী করা হয়।
জানা যায়, ঘটনার দিন এসিল্যান্ডের থেকে খবর পেয়ে এসআই মিজানুর রহমান কয়েকজন পুলিশ সহ ফুকরা বাজারে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে এসআই মিজানের মাথা ফেটে যায়। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামাল পাশা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উপজেলা এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে সোমবার লকডাউনের কার্যকারিতা নিশ্চিতে অভিযানে ফুকরা বাজারে গেলে সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে প্রথমে পুলিশের ওপরে হামলা ও সালথা থানা ঘেরাও করা হয়। এরপর বিভিন্ন সরকারী অফিস ও বাসভবনে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে স্থানীয়রা। এতে একজন নিহতও হন।