শেরপুরে প্রথমদিনে ঢিলেঢালাভাবে শুরু হয়েছে লকডাউন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৪ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের লক্ষে সরকার আজ ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষনা করলেও শেরপুরে সবকিছুই চলছে প্রায় স্বাভাবিক।
সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিনে আজ সকালে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই মানুষের ভিড় দেখা গেছে জেলা শহর ছাড়াও উপজেলার রাস্তাঘাটে ও দোকানপাটে।
পন্য পরিবহন গুলোকে সকাল থেকেই চলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই জেলা শহরের বিভিন্ন দোকানপার্ট খুলতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। বড় বড় দোকানগুলো একটি করে সাটার খুলে দেয়া হয়েছে। ঢিলেঢালাভাবে শুরু হয়েছে লকডাউন।
লকডাউন মানার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হলেও মানুষের মাঝে লকডাউন মানার স্বতস্ফুর্ততা দেখা যাচ্ছে না। লকডাউন কার্যকর করতে রবিবার থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও মাইকে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
মাঠে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের কড়া নজরদারি।
লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা না মানায় শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ৪ দোকানদারসহ মাস্ক না পরায় একজনকে ৩২শ টাকা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাওছার আহম্মেদ ৬ দোকানদারকে ২২শ টাকা জরিমানা করেছেন।
ট্রাফিক বিভাগও ৬টি বাস ও একটি মাইক্রোবাসকে জরিমানা করতে দেখা গেছে গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা। এ ছাড়া রাস্তাঘাটে জনসমাগমও দেখা গেছে। জেলা এবং উপজেলা শহর সর্বত্রই চিত্রটা প্রায় একইরকম।
ক্রেতা আ: রহিম জানান, আমাগো শেরপুর তো আর করোনা নাই। আমাগো কিয়ের লকডাউন। আমাগো কেনা কাটা কর নাইগা আইছি।
ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া জানান, দোকান বন্ধই রাখছি। তবে একটি সাটার খোলার ব্যাপারে বলেন, দোকান পরিস্কার করছি। কেউ আইলে তো আর ফেরৎ দিতে পারিনা।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজ আল মামুন জানান, আমরা মাঠে কাজ করছি। মানুষকে বুঝাচ্ছি। আশা করি সবকিছিুই নিয়ন্ত্রনে আসবে।