কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে গাইবান্ধায় চারজনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১০ পিএম, ৪ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে গাইবান্ধায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘন্টব্যাপি হওয়া এই ঝড়ে গাছ ও ঘরের নিচে চাপা পড়ে ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়।
ঝড়ে ঝড়ের কবলে মৃতরা হলেন- ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রামের, আব্বাস আলীর ছেলে আব্দুল গোফ্ফার (৪২), মোস্তফাপুর গ্রামের, বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলী বেগম (২৫), ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের ও সোলায়মান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৬০), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের।
এছাড়া ঝড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের তারের উপর গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সদর, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে।
কামারাজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ২৮টি নৌকা নিখোঁজ রয়েছে। সেগুলোর অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে সেগুলোতে কতগুলো যাত্রী ছিলেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, তিনি তার উপজেলার কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে লণ্ডভণ্ড ও ঘরবাড়ি গাছপালা তিনি দেখেছেন।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তালিকা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জানান, ঝড়ে ঘরের চালের উপর গাছ ভেঙে পড়ে এবং গাছ চাপায় ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এছাড়া ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও ও পিআইওদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাওয়া গেলে বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সহায়তা দেওয়া হবে।