বাগেরহাটে নির্বাচনি সহিংসতায় প্রার্থীসহ আহত ৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪২ পিএম, ৩১ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৬ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও চিতলমারী উপজেলায় পৃথক নির্বাচনী সহিংসতায় ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ ছয় জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কাননচক বাজারে এবং মঙ্গলবার রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের পঞ্চকরণ গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে পঞ্চকরণ ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ড প্রার্থী নুরুল আমিন শিকদারের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল হক তালুকদার ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে প্রার্থী নুরুল আমিন শিকদার (৫৫) গুরুতর আহত হন।
আহত নুরুল আমিন শিকদার বলেন, ‘নির্বাচনের শুরু থেকেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল হক তালুকদার নানাভাবে আমাকে হয়রানি করে আসছে। মঙ্গলবার রাতে নুরুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন লোক আমার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের কারণ জানতে চাইলে তারা আমাকে মারধর করে। আমি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।’
এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে চিতলমারীর কাননচক বাজারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন সিদ্দিকীর কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বাদশা শেখের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী নাজু শেখ (৪০), তাসেক শেখ(৫০), রুবেল শেখ (৪২) গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গোপালগঞ্জ এবং পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘বাদশা শেখ এর আগেও আমার ও আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে বাদশা শেখ দাবি করেছেন, মারামারির ঘটনায় হাফিজ শেখ (৩৫) ও আল আমিন শেখ (২০) নামে তার দুই কর্মী আহত হয়েছে। তাদেরকে টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।