এতিম নারীদের জমি দখলে মদদের অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে নালিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ২৮ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৯ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজির কাছে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার ওসি জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আজ রবিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগী মোছা: রিয়া আক্তার নামের এক নারী এ অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত ১৭ মার্চ রাতে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া তেলিগাতি বাজারস্থ গো-হাটায় আমার জমিতে নির্মিত দু’টি দোকানঘরের তালা ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে দোকানঘরে তালা ঝুলিয়ে চাবি আমাদের বুঝিয়ে না দিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তির কাছে জমা রাখে। যা প্রতিপক্ষকে জমি দখল নিতে মদদ দেয়ার শামিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে ওসি আমাদের মামলা নেইনি, বলেও অভিযোগ এ ভুক্তভোগীর।
সূত্র জানায়, আটপাড়া উপজেলার শাসনকান্দি গ্রামের মরহুম আব্দুল কাদির মোল্লা ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনটি পৃথক পৃথক দলিলে সাফ কাওলা মোট ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছে। আ: কাদির মোল্লার তিন মেয়ে থাকলেও কোন পুত্র সন্তান নেই। ফলে ২০১১ সালে তিনি মারা যাবার পর ওই জমি ভোগ-দখল করে আসছে তাঁর তিন এতিম মেয়ে আম্বিয়া আক্তার, মুর্শিদা আক্তার ও রিয়া আক্তার।
সম্প্রতি জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় রাসসিদ্ধ গ্রামের মিজানুর রহমান মিলন ও আ: মতিনের নজর পড়ে এই জমির উপর। ফলে জাল-জালিযাতির মাধ্যমে জমিটি জবর দখল নিতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তারা।
ভুক্তভোগীরা আম্বিয়া আক্তার, মুর্শিদা আক্তার জানায়, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারী জাল-জালিয়াতির কাগজে প্রতিপক্ষরা জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে উচ্ছেদ মামলা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করে। কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক প্রতিপক্ষে আবেদন খারিজ করে আমাদের দখলে থাকা নালিশী জমিতে আইনগত স্বীকৃত যে কোন কাজকর্ম চালানোর অধিকার রাখি মর্মে আদেশ দেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে আটপাড়া থানার ওসি জাফর ইকবাল প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি কেন মদদ দিব? ঘটনা এমন কিছু না। ওই জমি নিয়ে মামলা চলছে। আইন শৃংখলা যেন বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য দোকানে তালা দিয়ে চাবি বাজারের ইজারাদারের কাছে রাখা হয়েছে। তবে মামলা না নেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মো: হারুন অর রশিদ বলেন, থানায় মামলা না দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।