হাটহাজারী থানা ঘেরাও, নিহত ৪ আহত ২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ২৬ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১১ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেশে আগমনের প্রতিবাদে হাটহাজারী থানা ঘেরাও করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের গুলিতে ৫ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার জুমা নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় হেফাজত ইসলামের বিক্ষুব্দ নেতাকর্মী হাটহাজারী থানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ৬জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৪ জনে মৃত্যু হয়।সংঘর্ষের সময় হাটহাজারী এসিল্যান্ড এর গাড়িতে আগুন দিলে গাড়িটি পুড়ে যায়। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। পরিস্থিতি মোবকবেলায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ থানার সাসনে অবস্থান করছে।এদিকে হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল বলেছেন, এখনও মাদরাসার সামনে তাদের পাঁচ পুলিশ সদস্য আটকা পড়ে আছেন ও দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
দৈনিক পূর্বকোন হাটহাজারী প্রতিনিধি সাংবাদিক খোরশেদ আলম শিমুল আহত হন।
চট্টগ্রাম মেডিকেকল কলেজ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষনিক আহত নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
জানাগেছে, জুমার নামাজের পর হাটহাজারী সদরে নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে অন্তত ৬ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সংঘর্ষে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।হাটহাজারী বাজার ও কাচারী সড়ক, বাসষ্টন্ড এলাকা সকল দোকান পাট বন্ধ হয়েযায়।পরিস্থাতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, হাটহাজারীতে হেফাজত আমাদের সরকারি অফিসগুলোতে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ভূমি অফিসে আগুন দিয়েছে। থানা ভাংচুর করছে। ডাক বাংলোতে ভাংচুর করছে।